Roman dildo: সেলাইয়ের যন্ত্র হয়ে গেল সেক্সটয়, ২০০০ বছর আগেও ছিল ‘ডিলডো’-র ব্যবহার!

First Roman dildo found: ৩০ বছর ধরে মনে করা হত এটি সেলাইয়ের যন্ত্র। কিন্তু সম্প্রতি অ্যান্টিকুইটি জার্নালে অবিশ্বাস্য এক দাবি করেছেন ব্রিটেনের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক।

Roman dildo: সেলাইয়ের যন্ত্র হয়ে গেল সেক্সটয়, ২০০০ বছর আগেও ছিল ডিলডো-র ব্যবহার!
৩০ বছর ধরে মনে করা হত, এটি সেলাইয়ের যন্ত্র

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Feb 23, 2023 | 9:59 AM

লন্ডন: ২,০০০ বছর আগে, রোমান সভ্যতাতেও সেক্সটয় ব্যবহার করা হত! সম্প্রতি, অ্যান্টিকুইটি জার্নালে এমনই অবিশ্বাস্য দাবি করেছেন ব্রিটেনের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক। টাইমস অব লন্ডনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে নর্থম্বারল্যান্ডের ভিন্ডোল্যান্ডে অবস্থিত একটি রোমান দুর্গে খনন চালানোর সময়, এই ছয় ইঞ্চি দীর্ঘ নলাকার কাঠের তৈরি বস্তুটি পাওয়া গিয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রাথমিকভাবে এটিকে সেলাইয়ের সরঞ্জাম বলে মনে করেছিলেন। এতদিন, সেটিকে এইভাবেই দেখা হত। কিন্তু, অ্যান্টিকুইটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির একদল প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন, এটি কোনও সেলাইয়ের সরঞ্জাম নয়। বরং, এই বস্তুটি যৌনসুখের জন্য ব্যবহার করত রোমানরা।

নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির প্রত্নতাত্ত্বিক তথা গবেষণাপত্রটির সহ-রচয়িতা ড. রব কলিন্স বলেছেন, “স্বীকার করতেই হবে, বস্তুটি দেখে আমার প্রথমেই মনে হয়েছিল এটি একটি লিঙ্গ। আমরা জানি প্রাচীন রোমান এবং গ্রীকরা যৌনতার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করত। ভিন্ডোল্যান্ডের এই বস্তুটি সম্ভবত তারই একটি উদাহরণ।” অথচ, এতদিন এই বস্তুটি শ্রেণিবদ্ধ ছিল সেলাইয়ের সরঞ্জাম হিসেবেই। সুঁচ এবং সুতো ব্যবহার করে কাপড়ের ফুটো মেরামত করা বা রিফু করার জন্য এই কাঠের তৈরি লিঙ্গাকার বস্তুটি ব্যবহার করা হত বলে মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই সন্দেহ তৈরি হওয়ার পিছনে মূল কারণ ছিল ছিল, জুতো এবং অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে এটিকে পাওয়া গিয়েছিল।

তবে ৩০ বছর পর, বস্তুটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, বিজ্ঞানীদের ধারণাটা বদলে গিয়েছে। রব কলিন্স বলেছেন, “প্রথম দর্শনেই বেশিরভাগ ব্যক্তির মনে হয়েছে এটিকে যৌনতার জন্যই ব্যবহার করা হত। এটির আকার এবং এটি যে কাঠ দিয়ে তৈরি, তা থেকেই এই প্রশ্ন উঠে আসে। জানি না কে এটিকে সেলাইয়ের সরঞ্জাম বলে ক্যাটালগে তুলেছিল। হয়তো এটা নিয়ে তারা অস্বস্তিতে পড়েছিল। প্রাচীন রোমানরা এমন কাজ করত বলে কেউ ভাবতে পারেনি।” অথচ, প্রাচীন রোমে প্রায় সর্বত্রই লিঙ্গের আকারের চিহ্নের ব্যবহার ছিল। প্রায়শই মোজাইক ফ্রেস্কোতে লিঙ্গের ছবি দেখা গিয়েছে। আবার তান্ত্রিক শক্তি আছে মনে করে, ছোট মাপের লিঙ্গাকার বস্তু লকেট করেও গলায় পরার রীতিও ছিল। তবে, এই বস্তুটি সেগুলির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

প্রথমত, প্রাচীন রোমান সমাজে যে লিঙ্গের মতো বস্তুগুলি ব্যবহার করা হত, সেগুলি ছিল ছোট মাপের। এটি পূর্ণ দৈর্ঘের পুরুষাঙ্গের মাপের। দ্বিতীয়ত এটি কোনও লকেট বা অন্য কিছুর সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়নি, বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কাজেই লকেট বা অন্য কিছু এটি নয়। তৃতীয়ত এটি কাঠের তৈরি, পাথরের নয়। উপরন্তু, এটির দুই প্রান্তই একেবারে মসৃণ। যা থেকে গবেষকরা ধারণা করছেন, এটি একটি দ্বি-মাথাযুক্ত ডিলডো হতে পারে। নিজেকে যৌন আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এটি ব্যবহার করা হতো। যদি, তাই হয় সেই ক্ষেত্রে এটিই হবে প্রাচীন রোম থেকে পাওয়া প্রথম সেক্সটয়।