
বেইরুট: ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে নিকেশ হিজবুল্লা প্রধান। এরপরই পুরোদমে যুদ্ধক্ষেত্রে নেমেছে ইরান। ইজরায়েলের উপরে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা জবাবে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। ইরানেও বড় মাপের হামলা চালানোর পরিকল্পনা। এরই মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। লেবাননের মন্ত্রী দাবি করলেন, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিলেন হিজবুল্লা প্রধান।
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ বউ হাবিব (Abdallah Bou Habib) দাবি করেন, এয়ারস্ট্রাইকে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দিন কয়েক আগেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হয়েছিল হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাহের। ওই আলোচনায় ২১ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন হিজবুল্লা প্রধান।
লেবাননের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধবিরতিতে আমরা রাজি হয়েছিলাম। হিজবুল্লার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা আমেরিকা ও ফ্রান্সকে জানিয়েছিলাম যে কী হয়েছে। ওঁরা আমাদের বলেছিল যে নেতানিয়াহুও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল। তারপরে কী হল, তা তো আপনারা দেখেছেনই।”
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে লেবাননে লাগাতার পেজার বিস্ফোরণের পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়ে আলাদা বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ সহ একাধিক দেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র অ্যাডভাইসর আমোস হোচস্টেইনের লেবাননে যাওয়ার কথা ছিল বলেই দাবি করেন লেবাননের বিদেশমন্ত্রী।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ বেইরুটে হিজবুল্লার সদর দফতরে এয়ারস্ট্রাইক চালায় ইজরায়েল। ওই হামলাতেই হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লাহ-র মৃত্যু হয়। এরপরই যুদ্ধের সূচনা। ছায়াযুদ্ধ ছেড়ে সরাসরি ইজরায়েলের উপরে আঘাত হানে ইরান।