Donald Trump-Nikki Haley: খুব ভুল করছেন ট্রাম্প! ভারতের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক না শোধরালে…হুঁশিয়ারি দিলেন সতীর্থ নিকি

India-USA Relation: নিকি হেইলি বলেন, "যদি আমেরিকা চিনের বাণিজ্যিক আগ্রাসন রুখতে চায়, তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরাতে হবে, আগের মতো করতে হবে। চিনের সঙ্গে লড়তে হলে আমেরিকার ভারতের মতো বন্ধুর দরকার।"

Donald Trump-Nikki Haley: খুব ভুল করছেন ট্রাম্প! ভারতের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক না শোধরালে...হুঁশিয়ারি দিলেন সতীর্থ নিকি
ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি নিকি হেইলির।Image Credit source: PTI

|

Aug 21, 2025 | 11:23 AM

ওয়াশিংটন: রাশিয়ার থেকে তেল কেনায়, ভারতের উপরে ট্যারিফ চাপিয়ে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত যেমন এই সিদ্ধান্তে অখুশি, তেমনই ক্ষুব্ধ সে দেশের প্রাক্তন কর্তারাও। রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রাক্তন মার্কিন অ্যাম্বাসডর নিকি হেইলি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন যে ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লির মধ্যে সম্পর্ক ভাঙতে বসেছে। এই সম্পর্ক দ্রুত ঠিক করতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতীর্থই এবার তাঁর বিরুদ্ধে সরব। নিকি হেইলি বলেন যে ভারতকে চিনের মতো প্রতিপক্ষ হিসাবে বিচার করলে হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক বা ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে আমেরিকার ভূমিকাকে হাতিয়ার করতে পারে না।

২০২৪ সালে ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন নিকি হেইলি। তবে সম্প্রতি ট্রাম্পের আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনাও করেছেন। ভারতের উপরে শুল্ক চাপানোর প্রসঙ্গে নিকি বলেন, “ভারতকে শুল্ক মুক্ত ও গণতান্ত্রিক অংশীদারের মতো গণ্য করা উচিত, চিনের মতো প্রতিপ্রক্ষ হিসাবে নয়, যারা এতদিন ধরে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা সত্ত্বেও শুল্কের খাঁড়া এড়িয়ে চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “যদি আমেরিকা চিনের বাণিজ্যিক আগ্রাসন রুখতে চায়, তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরাতে হবে, আগের মতো করতে হবে। চিনের সঙ্গে লড়তে হলে আমেরিকার ভারতের মতো বন্ধুর দরকার।

ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে সম্প্রতি অবনতি হয়েছে। একদিকে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোয় আমেরিকা মধ্যস্থতার দাবি করেছেন, যা সরাসরি খারিজ করেছে ভারত। অন্যদিকে, ট্রাম্প অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন ভারতের ঘাড়ে। আগেই ভারতের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এরপর সম্প্রতিই ট্রাম্প আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসান রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য।

নিকি হেইলি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির লক্ষ্য হল চিনকে প্রতিযোগিতায় হারানো এবং শান্তি অর্জন, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ককে ট্র্যাকে ফেরানোর থেকেও কিছু জিনিস গুরুত্বপূর্ণ।”

চিন থেকে আমদানি বন্ধ করতে বা সাপ্লাই চেইন সরিয়ে নিতে ওয়াশিংটনের নয়া দিল্লির সাহায্যের দরকার। নিকি হেইলি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের দেশে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার কাজ করলেও, চিনের মতো বিপুল পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করতে, একমাত্র ভারতই পারে। জামাকাপড়, কমদামী ফোন ও সোলার প্যানেল, যা দ্রুত আমেরিকায় তৈরি করা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে আমেরিকার ভরসা ভারতই।”

দীর্ঘকালীন মেয়াদে ভারতের গুরুত্ব আরও বাড়বে বলেই উল্লেখ করেন নিকি হেইলি। চিনের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত, যেখানে চিনের শ্রম ক্ষমতা বুড়ো হচ্ছে, সেখানে ভারতের যুব কর্মক্ষমতা রয়েছে। ভারতের ক্ষমতা বাড়লে, চিনের আধিপত্য কমবেই। কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রিত চিনের তুলনায় গণতান্ত্রিক ভারত বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে না।