
মস্কো: গত বছর অগস্ট মাসে দীর্ঘযুদ্ধের পর আফগানিস্তানের মসনদ দখন করেছিল তালিবান। প্রায় ছ’মাস কেটে গেলেও হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও এখনও নিজেদের গঠিত নতুন সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি তালিবান। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের সচিব রেনাত সাধুর সঙ্গে ইউএনএসসি নিয়ে আলোচনার পর রাশিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ভার্সনিন জানিয়েছেন বর্তমানে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচন ‘অপরিণত’। ভার্সনিন বলেন, “আফগানিস্তান নিয়ে রাশিয়া ও ভারতে অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে একই এবং সাদৃশ্যও রয়েছে। এখন কাবুলের বর্তমান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে এখন কথা বলা সম্ভব নয়।”
এদিন পরোক্ষে তালিবান সরকারকে কটাক্ষ করে রাশিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা আশা করি, বর্তমান আফগানিস্তানের নেতৃত্ব বিশেষ করে সরকারের অন্তর্ভুক্তি এবং মানবাধিকার ক্ষেত্র সহ অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁদের গৃহীত বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করবে।” তাঁর মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন করা উচিৎ। রাশিয়া ও ভারত আফগানিস্তানের জনগণের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সেখানে ২০ বছর ধরে আমেরিকা ও তার বন্ধুদের উপস্থিতি অবস্থা আরও শোচনীয় করে তুলেছে।”
“দ্বিতীয় বারের জন্য ভারত অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্যসূচিতে থাকা সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে ইউএনএসসিতে তাদের প্রথম বছরের ফলাফলের পর আমাদের চিন্তাধারার তুলনা করা আমাদের জন্য আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারতের দেওয়া পরামর্শগুলি উল্লেখযোগ্য, বিস্তারিত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল” বলেন সের্গেই ভার্সনিন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত এবং রাশিয়া উভয়ই নিউ ইয়র্ক, জেনেভা এবং প্যারিসের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিভিন্ন বিষয়গুলিতে সমন্বয় এবং আলোচনা চালিয়েছে এবং তাদের চিন্তাধারার মধ্যেও সাদৃশ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন : Canadian PM: পরিবার সমেত গা ঢাকা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন : Ukraine crisis: রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাধান চায় নয়া দিল্লি