সিওল: আজব দেশ উত্তর কোরিয়া! সেখানের স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের একরোখা মনোভাবই কোরিয়ানদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তাঁর কথাই সে দেশে শেষ কথা। শুক্রবার কিম প্রশাসন এমন এক দাবি করেছে যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে বিশ্বের তাবড় চিকিৎসকদের। গোটা বিশ্বে করোনা মহামারি ও বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যেও উত্তর কোরিয়াতে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি, এমনটাই দাবি করেছিল কিম প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই হঠাৎ করেই জানা গিয়েছিল, মারাত্মকভাবে সেদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এমনকী প্রথম কী প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে কিমকে মাস্ক পরে দেখা গিয়েছিল। শুক্রবার কিম প্রশাসন জানিয়েছে এলিয়েন অথবা ভিনগ্রহী কোনও বস্তুর সংস্পর্শে এসেছে উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা করোনা আক্রান্ত হতে শুরু করেছিলেন। শুক্রবার কিম প্রশাসন জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তেই ভিনগ্রহীদের সঙ্গে সংস্পর্শে এসেছিল উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা। প্রকারান্তরে সংক্রমণের জন্যই দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে পিয়াংগং।
এই অদ্ভূত তত্ত্ব জানানোর পর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের বাতাস এবং জলবায়ু সংক্রান্ত পরিবর্তন অথবা বেলুনের মাধ্যমে আগত ভিনগ্রহীদের কার্যকলাপ সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছে কিম প্রশাসন। Kim Jong Un উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, ১৮ বছরর বয়সী এক সেনা জওয়ান এবং পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু দেশের পূর্ব দিকে কুমগাং এলাকায় অচেনা বস্তুর সংস্পর্শে এসেছে। তাদের মধ্যে উপসর্গ ছিল এবং দেখা যায় পরবর্তীকালে তাদের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, ওই এলাকার বেশ কিছু মানুষের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে জ্বরের উপসর্গ ছিল, যা পরবর্তীকালে অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তর কোরিয়ার সরকার বিরোধী বেশ কিছু সমাজকর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে লিফলেট বিলি করার পাশাপাশি শান্তির বার্তা দিতে বেলুন উড়িয়েছিল। উত্তর কোরিয়াতে এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছিল। মে মাসের শুরুতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কিম প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে কঠোর কো