
বলিভিয়া: সেই কবেই ওরা চলে গিয়েছে। কিন্তু ওদের নিয়ে আজও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। ডাইনোসররা কী করে বিলুপ্ত হয়ে গেল, এ নিয়ে গবেষণা আজও শেষ হয়নি। ফুড চেনের একেবারে নীচ থেকে ওপর পর্যন্ত থাকা এরকম একটা ডমিনেন্ট স্পিসিস, চিরতরে মুছে গেল, এটাই সবচেয়ে বিস্ময়ের জায়গা। পৃথিবীর নানা প্রান্তে চলছে নিরন্তর গবেষণা। বিলুপ্তির কারণ খুঁজতে গিয়ে কত শত বিজ্ঞানী সারা জীবন লাগিয়ে দিচ্ছেন। এখনও প্রায়শই নানা প্রান্ত থেকে ওদের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। তার রেশ ধরেও ওদের হারিয়ে যাওয়ার খোঁজ করা হয়।
কিছুদিন আগে ব্রিটেনের অক্সফোর্ডশায়ারে নরম চুনাপাথরের ওপর একসঙ্গে ২০০ ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। পায়ের ছাপগুলো ছিল ১৬ কোটি বছর আগের। তা নিয়েও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার শোরগোল বলিভিয়াতে। এবার যেন ব্রিটেনের ঘটনাকেও ছাপিয়ে গেল সে দেশের ঘটনা।
২০০ নয়, বলিভিয়ার তোরোতোরো ন্যাশনাল পার্কে মিলল ডাইনোসরদের প্রায় আঠারোশো পায়ের ছাপ। ডাইনোদের এত ফুটপ্রিন্ট একসঙ্গে এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি। সংখ্যা যে বেশি শুধু তাই নয়। গবেষণায় উঠে আসছে আরও চমকপ্রদ তথ্য। মনে করা হচ্ছে এই পায়ের ছাপগুলি প্রায় ৭ থেকে ১০ কোটি বছর আগের। যা দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতদিনে মানুষ খুঁজে পেল ডাইনোসর হাইওয়ে। অবাক হওয়ার এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন প্রজাতির, বিভিন্ন শ্রেণির ডাইনোসরদের খোঁজ আগে মিললেও এত বড় চেহারার প্রাণীগুলি দেওয়ালে চড়তে পারতো বলে তো কখনও শোনা যায়নি। বলিভিয়ায় ডাইনোদের বেশকিছু পায়ের ছাপ মিলেছে খাড়া দেওয়ালের গায়ে। তাতেই বিস্ময়ে হতবাক অনুসন্ধানকারী দল।