
ওয়াশিংটন: আমেরিকায় যাওয়ার পথ হচ্ছে আরও কঠিন। আগেই এইচ-১বি ভিসায় ‘ফেলো কড়ি, মাখো তেল’-র নীতি এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ভিসা আবেদনকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার দিতে হবে। এবার এই ভিসায় আরও কড়াকড়ি করতে চাইছে আমেরিকান প্রশাসন। ইমিগ্রেশনের নিয়ম আরও কঠোর করতে চাইছেন তারা। কীভাবে এইচ-১বি ভিসা পারমিট ব্যবহার করা যাবে বা কারা এই ভিসা পাবেন, সেই সংক্রান্ত নিয়মে আরও বদল আনা হতে পারে।
জানা গিয়েছে, হোমল্য়ান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এইচ-১বি ভিসার নিয়মে পরিবর্তন করার প্রস্তাবনা দিয়েছে। “রিফর্মিং দ্য এইচ-১বি নমিমাইগ্রান্ট ভিসা ক্লাসিফিকেশন প্রোগ্রাম” নামে এই প্রস্তাবনায় এইচ-১বি ভিসায় ছাড় পাওয়ার জন্য যোগ্যতা পুনর্বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে। কোন সংস্থা এইচ-১বি ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। থার্ড পার্টি প্লেসমেন্টের উপরে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
এখনও স্পষ্ট নয় যে বার্ষিক সীমায় কোনও পরিবর্তন করা হবে কি না। তবে এইচ-১বি ভিসায় ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন করা হয়, তাহলে বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থা যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যায় প্রভাব পড়তে পারে। হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ার ভবিষ্যতও অনিশ্চিয়তার মুখে পড়তে পারে। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই নিয়ম প্রকাশ ও কার্যকর হতে পারে।
আগেই শোনা গিয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার বদলে নতুন লটারি সিস্টেম আনা হতে পারে। এই লটারি হবে বেতনের ভিত্তিতে।
দক্ষ কর্মীদের জন্যই এইচ-১বি ভিসার ব্যবস্থা। ভারত সবথেকে বেশি লাভবান হয় এই ভিসায়। এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় বসবাসকারীর ৭১ শতাংশ ভারতীয়। আমেরিকায় স্থায়ী নাগরিকত্ব বা গ্রিন কার্ড পাওয়ার আগে দীর্ঘস্থায়ী বসবাসের পারমিট এই ভিসা। তবে এই ভিসার চাপ বাড়ার পরই মার্কিন সরকার বছরে সর্বাধিক ৬৫ হাজার এইচ-১বি ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ভিসা দেওয়া হয় উচ্চশিক্ষার জন্য।