
জেরুজালেম: গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলে অতর্কিতে রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইজরায়েলের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েছিল হামাসের বিশেষ বাহিনী। সেই বাহিনী রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ইজরায়েলে। মিউজিক কনসার্টে ঢুকে হামলার পাশাপাশি, নিরীহ ইজরায়েলিদের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের মেরেছে হামাসের ওই বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা। বহু ইজরায়েলিকে বন্দি বানিয়ে গাজায় নিয়ে গিয়েছে তারা। হামাসের এই বিশেষ বাহিনীর নাম নুখবা ফোর্স। ইজরায়েলের মাটিতে অমানবিক হামলা চালিয়েছে হামাসের এই নুখবা ফোর্স।
আরবীয় ভাষায় ‘আল-নুখবা’ শব্দের অর্থ ‘বিশেষ’। অর্থাৎ নুখবা ফোর্স হামাসের বিশেষ এক বাহিনী। যারা মাটিতে বিভিন্ন হামলা চালাতে সিদ্ধহস্ত। এই বাহিনীর সদস্যরা উচ্চপ্রশিক্ষিত। অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভারে সজ্জিত। হামাসের এই বাহিনী সম্পর্কে ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, “নুখবা এলিট ফোর্সে জঙ্গিদের নির্বাচন করে হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালালোর জন্য এই বাহিনী তৈরি করেছে হামাস। রকেট হামলা, স্নাইপার হামলা, হেনস্থা, বর্বরোচিত আক্রমণ চালায় নুখবা।” হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বন্দি বানাতেও এই জঙ্গি বাহিনীর মুন্সিয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরালেয়ি সেনা।
নুখবা ফোর্সের সদস্যদের কঠিন প্রশিক্ষণ দেয় হামাস। বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র চালাতে সক্ষম এই বাহিনীর সমস্ত সদস্য। এ ছাড়াও স্কুবা ডাইভিং, হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, বিস্ফোরণ ঘটাতে ওস্তাদ তারা। এর পাশাপাশি মেশিন গান, স্নাইপার রাইফেল, অ্যাসল্ট রাইফেল, অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, গ্রেনেড চালাতেও রীতিমতো দক্ষ নুখবা বাহিনীর সদস্যরা।
২০১৪ সালে এই বাহিনী তৈরি করেছিল হামাস। গাজা-ইজরালেয় যুদ্ধের সময়ই এই বাহিনী তৈরি হয়। এই বাহিনী সে সময় প্রচুর ইজরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছিল। বর্তমানে সেই বাহিনী আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে মত ইজরায়েলি সেনার। নুখবা ফোর্স কতটা ভয়াবহ আক্রমণ শানাতে পারে, তার নমুনা দিন কয়েক আগেই পেয়েছে গোটা বিশ্ব।