
ঢাকা: শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকে বিমানে করে নিয়ে আসা হল ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে। আগেই শনিবার রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সূত্র ধরেই এদিন ঢাকা জুড়ে হাদির শেষ কৃত্য ঘিরে বিরাট ভিড়। কার্যত উত্তাল পরিস্থিতি।
এদিন সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজন হয়েছিল হাদির শেষ কৃত্যের। ভাষণ দিতে এসেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও। ‘ভারতবিরোধী’ স্লোগান দেওয়া হাদিকে ‘বীর’ সম্বোধন দিলেন তিনি। বললেন, ‘বীর ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় জানাতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভিতরে রয়েছ এবং বাংলাদেশ যতদিন রয়েছে, তুমিও সকলের মনে মধ্য়ে থাকবে।’
শুধু তা-ই নয়, হাদির অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণেরও বার্তা দিয়েছেন তিনি। ইউনূসের কথায়, ‘তুমি যা বলে গিয়েছ, সেটি যেন আমরা পূরণ করতে পারি।’ প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যকে সোজা চোখে দেখছেন না একাংশ। একাংশের কাছে হাদি ‘বিপ্লবী’ খেতাব পেলেও, তাঁর প্রতিটি মন্তব্যে যে ‘ভারতবিরোধীতা’ ঝরে ঝরে পড়ত, তাতে কোনও বিবাদ নেই। এবার সেই ‘গ্রেটার বাংলাদেশের স্বপ্ন’ দেখানো হাদির অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণের কথা বললেন ইউনূস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওসমান হাদির দেহ সমাধির জন্য সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গন নির্ধারণ করা হয়। সেই মর্মেই শনিবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, দুপুর আড়াইটে নাগাদ নমাজ পড়ার পর জনতার ঢল সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বিশেষ নিরাপত্তার মোড়কে হাদির দেহ নিয়ে সেই দিকেই হেঁটে যায়।
এই মিছিলে (জানাজায়) প্রথম সারিতেই ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। তাঁর পাশেই দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে তিন বাহিনীর প্রধানদেরও। এছাড়াও নেতারা তো ছিলেনই। অবশেষে তিনটে নাগাদ সমাধিস্থ হয় হাদির দেহ। একেবারে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই করা হয় ওসমান হাদির সমাধি। তাতেই আবার রোপণ করা হয় একটি রক্তজবা ফুল গাছ।