
গোপালগঞ্জ: হাসিনার জেলায় দিনভর সংঘর্ষ। ভাঙচুর, কার্ফু সব মিলিয়ে থমথমে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ। বুধের পর বৃহস্পতিতেও বজায় থাকল একই ছবি। তবে আগের তুলনায় সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমন হয়েছে। বেড়েছে নিরাপত্তা। টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশ থেকে সেনা।
তিনি থাকলে পরিস্থিতি এতটা হাতের বাইরে যেত কি না তা জানা নেই। কিন্তু তাঁর জেলাতেই যে এখন উত্তাল পরিস্থিতি, সেই খবর পেয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বাইরে থেকেও দেশের খোঁজ রেখেছেন তিনি। আবার দিয়েছেন বার্তাও।
বুধবার মধ্যরাতে ইউনূস সরকারকে উৎক্ষাতের ডাক দিয়েছেন মুজিব-কন্যা। তিনি বলেছেন, ‘যার যা আছে, তাই নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। এই মুহূর্তে মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে হবে। এই সরকার মানুষের রাজনৈতিক অধিকার করেছে। তাই এদের উৎখাত করেই ছাড়তে হবে।’
তাঁর সংযোজন, ‘একটা নতুন দল তৈরি হয়েছে এনসিপি। সব জায়গায় যায়। চাঁদাবাজির মাস্টার। গোপালগঞ্জে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাল। এত মানুষ মারল। এমনকি, সেনার যে আচরণ সবটাই ধরা পড়েছে।’ সর্বপরী এদিন লং মার্চ টু যমুনার ডাক দিয়েছেন তিনি। বলে রাখা ভাল, এই যমুনাতেই রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্ত প্রশাসনিক দফতর ও ইউনূসের বাসভবন। মাস কতক আগে যখন নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশে সুর চড়িয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। সেই সময় এই যমুনা ভবনই ঘিরে ধরেছিল তারা। যার কথা ফের ফিরে এল হাসিনার মন্তব্যেও।