AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Twin Blast in Iran: কাসেম সোলেইমানির সমাধির কাছে জোড়া বিস্ফোরণ, ইরানে মৃত শতাধিক

Qasem Soleimani's Grave: ইরানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১০৩ জনের মৃত্যু এবং ১৪১ জনের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরও বেশি জনের মৃত্যু হয়েছে এই বিস্ফোরণে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

Twin Blast in Iran: কাসেম সোলেইমানির সমাধির কাছে জোড়া বিস্ফোরণ, ইরানে মৃত শতাধিক
কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে ভিড় করেছিলেন প্রচুর মানুষImage Credit: Twitter
| Updated on: Jan 03, 2024 | 9:03 PM
Share

তেহরান: ইরানে জোড়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ১০০-র বেশি জনের। ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শ জন। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কেরমান শহরে ঘটেছে বুধবার ঘটেছে এই বিস্ফোরণ। ওই শহরে রয়েছে ইরানের জনপ্রিয় সেনা জেনারাল কাসেম সোলেইমানির সমাধি। ২ বছর আগে মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ইরানের ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’-এর প্রধান কম্যান্ডার সোলেইমানির। তাঁর স্মরণেই সোলেমানির কবরস্থানে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। সেই কবর স্থানের কাছেই এই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

কেরমান প্রদেশের গভর্নর রহমান জালালি এই ঘটনাতে ‘জঙ্গি হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। সোলেইমানির সমাধির কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, “কেরমানে সোলেইমানির সমাধির কাছে রাস্তার দুধারে বিস্ফোরক মজুত করেছিল। দূর থেকে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা।” ইরানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১০৩ জনের মৃত্যু এবং ১৪১ জনের আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরও বেশি জনের মৃত্যু হয়েছে এই বিস্ফোরণে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

ঘটনা নিয়ে কেরমান শহরের প্রধান রেজা ফাল্লাহ বলেছেন, “কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। জোরালো শব্দ শোনা গিয়েছে। তার পরই সব ছিন্ন ভিন্ন হয়েছে।” ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে প্রচুর মানুষের দেহ।

মার্কিন সৈন্যকে মধ্য প্রাচ্য থেকে সরাতে ইরানে গঠিত হয়েছিল রেভোলিউশেনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। তাঁর নেতৃত্ব ছিলেন কাসেম সোলেইমানি। ইরানে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল নজরকাড়া। ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর ইরান ও আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। তাঁর মৃত্যু পর প্রচুর মানুষের সমাগম দেখেছিল ইরান। সেই সমাগমেও ঘটেছল দুর্ঘটনা। সমাগমে পদপিষ্ট হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীকে সিরিয়া এবং ইরাকে কোণঠাসা করতেও সোলেইমানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।