তেল আবিব: ইরানে ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই রবিবার (২৭ অক্টোবর), মধ্য ইসরায়েলে এক বাস স্টপে যাত্রীদের পিষে দিল একটি ট্রাক। এই ঘটনায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থা ‘ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম’ জানিয়েছে, আহত ৩৫ জনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে আরও পাঁচজনের আঘাত গুরুতর এবং ২০ জন হালকা চোট পেয়েছেন। আর চারজন গুরুতর উদ্বেগের শিকার বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলি পুলিশ এই ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত হামলা এবং সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই মনে করছে। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, চালককে প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুসারে, যাত্রী নামানোর জন্য ওই বাসস্টপে এসে দাঁড়িয়েছিল একটি বাস। এলাকাটি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উত্তরে, গ্লিলট সামরিক ঘাঁটির কাছে অবস্থিত। বাসটি যখন যাত্রীদের সেখানে নামাচ্ছিল, সেই সময়ই আচমকা সজোরে ছুটে এসে প্রথমে বাসটিকে, তারপর বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে অধিকাংশই প্রবীণ নাগরিক। গ্লিলটে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঘাঁটিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তার আগে ওই বাসস্টপে নেমেছিলেন তাঁরা। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, এখনও অনেকে ঘটনাস্থলে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে তারা তদন্ত করছে। যাত্রীদের পিষে মারাই ট্রাকচালকের উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, “বর্তমানে, ঘটনার আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।” তবে, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই এই হামলা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই এলাকায় উপস্থিত সশস্ত্র অসামরিক নাগরিকরাই বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের ধাক্কা দেওয়ার পর, ট্রাকের চালককে গুলি করে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। জরুরি পরিষেবা কর্মীরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই এলাকার আকাশে চক্কর কাটছে একটি হেলিকপ্টার।