
ইসলামাবাদ: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পিছনে পাকিস্তানের হাত স্পষ্ট। পাল্টা জবাব দেবে ভারত, এই ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। যুদ্ধ জিগির তুলছে পড়শি দেশ, কিন্তু লড়াই করার ক্ষমতা কি আছে আদৌ? সূত্রের খবর, পাকিস্তানি সেনার যুদ্ধ করার ক্ষমতাই নেই তেমন। যুদ্ধ করবে কী করে? তার জন্য তো অস্ত্রের প্রয়োজন। পাকিস্তানের সেই ভাঁড়ার প্রায় ফাঁকা।
সংবাদসংস্থা এএনআই-র রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের কাছে যে অস্ত্রশস্ত্র আছে, তাতে টেনে-টুনে চারদিন টিকবে পাকিস্তান। তারপরে তাদের আর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো অস্ত্র থাকবে না। সেনারা তাই এখন থেকেই ভীত। যুদ্ধক্ষেত্রে গেলে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তা ভালভাবেই জানে তারা।
অস্ত্রের সঙ্কটের জন্যও পাকিস্তানই দায়ী। জানা গিয়েছে, নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছে পাকিস্তান। সম্প্রতিই ইউক্রেন ও ইজরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করেছে পাকিস্তান। নিজেদের ভাঁড়ারে যা অস্ত্র ছিল, তা ইউক্রেন ও ইজরায়েলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে এখন তাদের হাতে তেমন অস্ত্রশস্ত্রই নেই।
বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি চিন্তা বাড়িয়েছে পাকিস্তানের। সেনাবাহিনীতে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। তারাও সেই অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেনি।
পাকিস্তানি নেতা-মন্ত্রীরা মুখে ভারতকে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিলেও, সম্প্রতি সেনাস্তরীয় বৈঠকেই পাক বাহিনী জানিয়ে দিয়েছে তাদের কাছে ৯৬ ঘণ্টা টানা যুদ্ধ করার মতো অস্ত্রশস্ত্র আছে। তারপর তাদের মধ্যে যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের হাতে আপাতত ১৫৫ এমএম শেল রয়েছে এম১০৯ হাউৎজার ও ১২২ এমএম রকেটে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু এপ্রিলেই ১৫৫এমএম আর্টিলারি শেল ইউক্রেনকে বিক্রি করেছে পাকিস্তান। ফলে ভাঁড়ার এখন প্রায় ফাঁকা। স্পেশাল কর্পস কম্যান্ডারস কনফারেন্সে এ কথা জানিয়েছে পাক সেনা।