
করাচি: পাকিস্তানে নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই বিপাকে পড়ছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পিটিআই প্রধান ইমরান খান (Imran Khan)। এবার ইমরান ও তাঁর তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী বুশরা বিবিকে (Bushra Bibi) ৭ বছরের কারাদণ্ড দিল পাক আদালত। অ-ইসলামিক নিকাহ করার মামলাতেই তাঁদের কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের জেলা আদালত।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মাবলম্বী মহিলার স্বামীর মৃত্যু বা তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিছু সময়ের জন্য পুনরায় বিয়ে করা নিষিদ্ধ। এটিকে ইদ্দত বলে। ইদ্দতের নিয়ম অনুযায়ী, ওই মহিলাকে অন্তত ৪ মাস ১০ দিন অন্য পুরুষের থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতে হয়।
কিন্তু, বুশরা বিবি ইদ্দতের নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ। অর্থাৎ প্রথম স্বামী ফরিদ মানেকার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নির্দিষ্ট সময় না মেনেই বুশরা বিবি ইমরান খাবকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে পাকিস্তানের নিম্ন আদালতে মামলাও হয়। ফরিদ মানেকার অভিযোগ ছিল, তাঁদের বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই সম্পর্কের মাঝে ইমরান খান প্রবেশ করেছিলেন। দীর্ঘ শুনানির পর চলতি বছরের গোড়াতেই এই মামলায় বুশরা বিবিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল পাক আদালত। অবশেষে শনিবার সাজা ঘোষণা করল।
এদিন সাজা ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি। অ-ইসলামিক বিয়ে করার দায়ে দুজনকেই ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সিনিয়ার সিভিল বিচারক।
প্রসঙ্গত, বুশরা বিবির ডিভোর্স সার্টিফিকেট অনুযায়ী, ফরিদ মানেকার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর। তারপর ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি তাঁদের বিয়ে হয়। এটা ইদ্দত-বিরোধী বলা হলেও বুশরা বিবির দাবি, ২০১৭-র এপ্রিলে তিনি মৌখিকভাবে তিন তালাক পেয়েছেন। সেই তারিখ ধরে ইদ্দত মেনেই তিনি ইমরান খানকে বিয়ে করেন। যদিও তাঁর সেই দাবি আদালতে মান্যতা পেল না।
অন্যদিকে, ইমরান খান ইতিমধ্যে জেলবন্দি। সাইফার মামলায় ১০ বছর ও তোষাখানা মামলায় ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে তিনি আদিয়ালা জেলে রয়েছেন।