
ইসলামাবাদ: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে নামবে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা? পাক-প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মন্তব্যে ছড়াল বিতর্ক। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যখন দফায় দফায় চড়েছে পারদ। সেই আবহে সমাজমাধ্যম জুড়ে ভাইরাল হয়েছে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফের একটি ভিডিয়ো।
তাতে মন্ত্রী বলছেন, ‘আমাদের কাছে মাদ্রাসা পড়ুয়ারা রয়েছে। ওখানে যে সকল পড়ুয়ারা পড়াশোনা করছেন তারা পাকিস্তানের সেকেন্ড-লাইন অব ডিফেন্স। দেশের অবস্থা বুঝে ওদের সম্পূর্ণ ভাবেই ব্যবহার করা যেতে পারে।’ তবে এই ভিডিয়োর সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের বিষিয়ে যাওয়া সম্পর্কে পড়েছে উত্তেজনার ছাপ। আঘাত-প্রত্যাঘাত। বুধবার মধ্যরাত থেকে এই চলছে দুই দেশের মধ্য়ে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদের ভারত, পাকিস্তানের অন্দরে গড়ে ওঠা জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ভেঙে দিতেই ‘গা জ্বলেছে’ তাদের সরকারের। জঙ্গিদের শেষ কৃত্য করেছে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সঙ্গে। সেই ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী। এবার এই আবহে ভাইরাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর আরও একটি ভিডিয়ো। যা তাদের সন্ত্রাস কার্যকলাপকেই সুনিশ্চিত করছে বলে দাবি একাংশের।
কিন্তু সেনা ছেড়ে কেন পড়ুয়াদের যুদ্ধে নামানোর কথা বলছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী? যাদের হাতে বই থাকা দরকার, তাদের হাতে কেন বন্দুক তুলে দিচ্ছে পাক সরকার? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে সব খুইয়েছে পাকিস্তান। পরিণত হয়েছে কাঙালে। তাই এবার পরিস্থিতি হাতের বাইরে আর না বেরিয়ে যায়, সেনার আগে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের রাখতে চলেছে পাক সরকার।