ইসলামাবাদ: চরম বিপদে পড়েছেন ইমরান খান। গ্রেফতারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আদালত থেকে রক্ষাকবচ জোগাড় করলেও, শেষরক্ষা বোধহয় আর হবে না। আদালতের দেওয়া রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হলেই গ্রেফতার হবেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রাণা সানাউল্লাহ।
ইসলামাবাদে জনসভায় পুলিশ প্রধান ও এক মহিলা বিচারপতিকে হুমকি দিয়েই বিপাকে পড়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। যেকোনও মুহূর্তেই গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁকে, এই জল্পনা শুরু হওয়ার পরই চলতি সপ্তাহের সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হন ইমরান খান। আগাম জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবীরা। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের তরফে তাঁকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে, তবে তার মেয়াদ আগামিকাল, ২৫ অগস্টই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপরই ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিঠি লিখে ইমরান খানের গ্রেফতারির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতিও ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হলেই ইমরান খানকে এবার গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অগস্ট ইমরান খান ইসলামাবাদে একটি মিছিলে দাবি করেন, তাঁর এক ঘনিষ্ঠ সঙ্গী শাহবাজ গিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর উপরে নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে। এরপরই তিনি পুলিশ প্রধান ও এক মহিলা বিচারককে ‘দেখে নেবেন’ বলে হুমকি দেন। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সন্ত্রাসদমন আইনের ৭ নম্বর ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
এদিকে, এই আইনি ঝামেলার মাঝেই ইমরান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলাও দায়ের হয়েছে। সেশন কোর্টে এক মহিলা বিচারককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার প্রথম শুনানি রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইমরান খানকে এই মর্মে নোটিসও পাঠানো হয়েছে।