
ইসলামাবাদ: বাংলাদেশের পর এবার পাকিস্তান। দুই দেশেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ছবিটা যেন বড্ড এক। গতকাল সেদেশের হিন্দুনেতা ভবেশ চন্দ্রকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারল এক দল দুষ্কৃতীরা। এবার প্রায় একই রকম ঘটনা পাকিস্তানে। সেখানে হামলার মুখে পাকিস্তানের হিন্দু মন্ত্রী। কানাঘেষে রক্ষা হয়েছে প্রাণ।
রবিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার ধর্ম বিষয়ক হিন্দু মন্ত্রী খেয়াল দাস কোহিস্তানির উপর আক্রমণ চালাল এক দল দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, পড়শি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধ প্রদেশে একটি সরকারি সেচ প্রকল্পের বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন বেশ কিছু বিক্ষোভকারী। সেখানেই আন্দোলনের মাঝে হিন্দু মন্ত্রীর উপর আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা।
বরাবরই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মুখ পুড়ে থাকে পাকিস্তানের। এবার সেই আবহেই খোদ প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার হিন্দু মন্ত্রীর উপর আক্রমণে আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পাক সরকার। অবশ্য, গোটা ঘটনার বিরোধিতা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী এবং দ্রুত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধির উপর আক্রমণ একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এই ঘটনায় জড়িতে ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হবে।’ এই প্রসঙ্গে সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সায়েদ মুরাদ আলী শাহ বলেন, ‘বিক্ষোভ দেখানো যেতেই পারে, কিন্তু নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার ক্ষমতা কারোর নেই।’