
ইসলামাবাদ: ঢাকার খিদে মেটাবে ইসলামাবাদ। এবার পাকিস্তান থেকে এক লক্ষ টন চাল যাবে পদ্মাপাড়ের দেশে। ইতিমধ্যে সেই দরপত্রের আহ্বান করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশে রফতানির জন্য চাল কেনার দরপত্র ডেকেছে শেহবাজ শরিফের সরকার অধীনস্থ ‘দ্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তান’।
সেদেশের অন্যতম সংবাদমাধ্যম দ্য় ডনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ নভেম্বর এই দরপত্রের বিবৃতি জারি করেছে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, বিবৃতির জারি হওয়ার পর ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের দর জমা দিতে পারবে। একটি সংস্থা সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টন থেকে সর্বাধিক ১ লক্ষ টন পর্যন্ত চালের দরপত্র জমা দিতে পারবে।
বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশীয় বাজারে চালের দাম কমাতে চাল আমদানির জন্য তাঁদের তরফ থেকেও বেশ কয়েকটি দরপত্র ডেকেছে বাংলাদেশ। ঠিক এই সময়েই আরও একটি দরপত্র ডাকল পাকিস্তানও।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই পাকিস্তান-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সরকারি স্তরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমদানি-রফতানি শুরু করেছে দুই দেশ। এমনকি, গত নভেম্বরেই ৫৩ বছর পর পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে বাংলাদেশে এসে থামে একটি পণ্য বোঝাই জাহাজ। সেই থেকেই যেন আবার ‘ফেলে আসা’ বন্ধুত্ব নিয়ে বুক চওড়া হয় ইউনূসের। এরপর নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে করাচি থেকে মোট ৬৯৯টি কন্টেনর বোঝাই করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আরও একটি জাহাজ।