ইসলামাবাদ: তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর গদি থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী দল। চলতি সপ্তাহেই সংসদে পেশ করা হতে পারে অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion)। এই পরিস্থিতিতেও গদি বাঁচাতে মরিয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এর আগেই তিনি চক্রান্তের অভিযোগ এনেছিলেন, এবার বিদেশি চক্রান্তের (Foreign Conspiracy) দাবিও করলেন তিনি। রবিবারই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে তিনি বিশাল জনসভার আয়োজন করেছিলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এখনও যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তা প্রমাণ করার জন্যই এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। বিরোধীদের দাবি, দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি-কিছুই তিনি সামলাতে পারছেন না। করোনাকালেও তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই দেশবাসীকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। অন্যদিকে, পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক নেই ইমরান খানের, এমনটাই দাবি। সূত্রের খবর, কেবলমাত্র বিরোধীরাই নয়, শাসক দলের একাধিক নেতাও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপরে আর আস্থা রাখছেন না।
Asad Umar: It looks like we will come with 2/3 majority next time
Faisal Javed Khan: Unbelievable scenes today
Testimonials by @Asad_Umar and @FaisalJavedKhan after seeing the Epic Jalsa Crowd from the main stage! #IamImranKhan pic.twitter.com/14Lbg9mCIp
— PTI (@PTIofficial) March 27, 2022
রবিবারের জনসভায় ইমরান খান বিরোধীদেরই আক্রমণ করেন। তিনি দাবি করেন, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতি ও বিদেশনীতি নিয়ে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল বিরোধীদের গাফিলতির জেরেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে আনা সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ইমরান খান জানান, তিনি বিদেশি চক্রান্তের শিকার। এক শ্রেণির মানুষ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে। এই কাজের জন্য বিদেশ থেকে পাকিস্তানে টাকা আসছে। বিস্তারিত তথ্য না জানিয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লিখিতভাবেও আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না।”
ইমরান খানের জনসভার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই সমর্থকদের বাসে করে ইসলামাবাদে নিয়ে আসা হয়। তবে স্থানীয় পুলিশের তরফে জনসভায় যোগদানকারীর সংখ্যা ২০ হাজারে বেঁধে দেওয়ায় অনেক সমর্থকই জনসভায় যোগ দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলির তরফেও চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতায় মিটিং, মিছিলের আয়োজন করা হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েই বিপদ ডেকে এনেছেন ইমরান খান। এছাড়া দলীয় একাধিক সাংসদের সঙ্গে বিরোধের জেরে, তারাও ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।