
নয়াদিল্লি: বুধবার রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে নেমেছে তাহাউরের বিমান। খুব শীঘ্রই তাঁকে তোলা হবে NIA-এর বিশেষ আদালতে। তার আগেই দিল্লির আর্থার রোডের ধারের ‘অন্ধকার কুঠুরিতেই’ আপাতত দিনকতক ঠাঁই হবে ‘আমেরিকা ফেরত’ মুম্বই হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানার। এই তিহাড় জেলেই কিন্তু রাখা হয়েছিল ২৬/১১ হামলার একমাত্র জীবীত গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসবাদী কসাবকেও।
গোটা বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী হিসাবেই পরিচয় রানার। তার ‘হাতযশেই’ যে মুম্বইয়ে সন্ত্রাস হামলা চলেছিল, সেই প্রসঙ্গ উঠেছিল মার্কিন আদালতেও। এবার ওই একই হামলায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে ভারতে। কিন্তু ‘লক্ষ্মী বারে’ যখন তাহাউরকে ফেরাতে সফল হল ভারত, সেই সময়েই বিশ্ব রাজনীতিতে ‘মুখ পোড়া’ এড়াতে আগেভাগেই ‘দায় ঝেড়ে’ ফেলল পাকিস্তান।
এদিন রানার প্রত্যপর্ণের আবহেই একটি ভিডিয়ো বার্তা মাধ্যমে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত দুই দশক ধরে নিজের কোনও রকম পাকিস্তানি নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নথি রিনিউ করেননি তাহাউর। নিজেকে কানাডার নাগরিক হিসাবেই পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তাই এটা কার্যত স্পষ্ট যে পাকিস্তানের সঙ্গে নথিগত দিক থেকে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।’
তবে পাকিস্তান যেনতেন প্রকারেণ তাহাউর থেকে নিজের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও, ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিদেশে থেকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর সঙ্গে নিজের যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ‘দায় ঝেড়েও’ কিন্তু রেহাই পায়নি পাকিস্তান। সন্ত্রাস দমন বিভাগের একাংশের দাবি, ‘ওরা আশঙ্কা করছে যে রানা হয় তো সব সত্যি ফাঁস করে দেবে…’।