ISI agent Rahat Rao: কানাডায় অফিসে ঢুকে পুরিয়ে মারার চেষ্টা পাক এজেন্টকে, নেপথ্যে কে? ঘনাচ্ছে রহস্য
ISI agent Rahat Rao:কানাডায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই-এর এক এজেন্টের। কার্যালয়েই তাঁকে পুড়িয়ে মারল অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কানাডার পুলিশ।
সারে: কানাডায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে হত্যার চেষ্টা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা, ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের এক এজেন্টকে। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি, তাঁর কার্যালয়ে এসে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। রাহাত রাও নামে কানাডিয়ান-পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তি, কানাডার সারে সেন্ট্রাল এলাকায় বৈদেশিক মুদ্রা বদলের ব্যবসা করেন। সূত্রের খবর, শনিবার (৩ জুলাই), ২৪ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অছিলাতেই রাহাতের অফিসে এসেছিল। তারপর, আচমকা তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সে পালিয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে গেলেও, আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই আইএসআই এজেন্ট। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩-এ সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের বাইরে হত্যা করা হয়েছিল খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে। এই হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল পাক এজেন্ট রাহাতকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে, কার্যালয়ের বাইরের রাস্তায় এসে পরনের জামা-কাপড় সব খুলে ফেলছেন রাহাত। উপস্থিত অন্যান্যদের দেখা যায়, তার গায়ে কাপড় চাপড়ে চাপড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শরীরের অনকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। কে বা কারা এই হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এর সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যারও সম্পর্ক থাকতে পারে।
Viewers Discretion Advised 🔥
Report: A Pakistani-Canadian businessman Rahat Rao was set ablaze by a man in Canada’s Surrey and is in critical condition. He was involved in many protests after the killing of Khalistani terrorist Hardeep Singh Nijjar in June last year +1 pic.twitter.com/mr9UmdDAVq
— Avinash K S🇮🇳 (@AvinashKS14) August 4, 2024
নিজ্জর হত্যার পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা আরএনডব্লুর এজেন্টদের সম্ভাব্য হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি কোনও প্রমাণ দাখিল করেননি। ট্রুডোর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুরুতর অবনতি হয় ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের। নিজ্জর হত্যার পর, কানাডার পুলিশ সারেতে রাহাত রাও-এর কার্যালয়ে হানা দিয়েছিল। প্রায় ঘণ্টা দুই ধরে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সূত্র জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহাত বেশ কিছু আপত্তিকর পোস্টও করেছিলেন। কানাডার পুলিশ তাদের সামনেই ওই পোস্টগুলি মুছে ফেলতে বাধ্য করেছিল তাকে। নিজ্জর হত্যার পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থারও হাত থাকবে পারে বলে সন্দেহ করেছিল কানাডা পুলিশ।
সূত্রের খবর, রাহাত রাওয়ের পাশাপাশি তারিক কিয়ানি নামে কানাডায় পাকিস্তানের আরেক আইএসআই এজেন্ট রয়েছে।তারা দুজনেই কানাডায় পাক গুপ্তচর সংস্থার হয়ে সবথেকে বেশি কাজ করে। এমনকি কানাডায়, ভারত থেকে আসা এবং মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা সন্ত্রাসবাদীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিত তারা। তাদের সঙ্গে হরদীপ সিং নিজ্জরেরও সম্পর্ক ছিল বলে মনে করা হয়। নিজ্জর মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্রের মতে, রাও ও কিয়ানি সম্ভবত নিজ্জরের মাদকের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে চেয়েছিল। ব্যবসায়িক কারণে তারাই নিজ্জরকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়।