নিউ ইয়র্ক : করোনা অতিমারির (Pandamic) দাপট চলছে প্রায় ২ বছর ধরে। মূলত উপসর্গের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা চালানো হয়। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ইঞ্জেকশন চালু করা হয়েছে ঠিকই, তবে এখনও পর্যন্ত করোনা নিরাময়ের কোনও ওষুধ (Covid Pill) নেই বাজারে। আপাতত ভ্য়াকসিন দিয়ে করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে, তবে ভয় কাটছে না কোনওভাবেই। টিকাতেও বাধ মানছে না করোনা, তাই ওষুধের অপেক্ষায় দিন গুনছেন অনেকেই। এরই মধ্যে কিছু সংস্থা ওষুধ নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছে। এবার সেই ওষুধের দৌড়ে মানল ফাইজ়ার। আগেই বাজারে করোনার প্রতিষেধক এনেছে এই সংস্থা। এবার সেই সংস্থার দাবি, করোনার নতুন ওষুধ নিয়ে আসছে তারা। এই ওষুধে রোগীর মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে আমেরিকায় করোনার চিকিৎসায় ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। এরই মধ্যে আর এক সংস্থা মার্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের তৈরি আরও একটি ওষুধ খতিয়ে দেখছেন মার্কিন গবেষকরা। এমনকি সেই ওষুধে অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে ব্রিটেন। তাই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে চায় না ফাইজ়ার। তাদের দাবি, করোনা রোগীদের মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে ফাইজ়ারের তৈরি ওষুধ।
৭৭৫ জনের রোগীর ওপর প্রাথমিকভাবে ওই ওষুধের পরীক্ষা করেছে ফাইজ়ার। দেখা গিয়েছে মৃত্য়ু হয়নি কারও। এক শতাংশের কম রোগীর ক্ষেত্রে ঙাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। জনাা গিয়েছে, ওই ওষুধের ব্র্যান্ড নেম হবে, পাক্সলোভিড। দিনে দুবার তিনটি করে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীকে। এই ওষুধ খেলে কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি সংস্থার তরফে।
অন্যদিকে, মার্কিন সংস্থা মার্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকসের মোলনুপিরাভির নামে একটি ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছিল অনেক দিন ধরেই। এবার সেই ওষুধই অনুমোদন পেয়েছে ব্রিটেনে।
মার্কিন সংস্থা মার্ক অ্যান্ড রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস এই ওষুধ বাজারে আনছে। এটি কোভিডের অ্যান্টি ভাইরাল পিল হিসেবে কাজ করবে। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেনের মেডিসিন অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির তরফ থেকে এই ওষুধটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা পরীক্ষা করার বা করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই এই ওষুধ খেতে হবে।
করোনায় খাওয়ার ওষুধ হিসেবে এটিই প্রথম অনুমোদন পেল। এর আগে রেমিডেজ়িভির নামে ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়েছে করোনার চিকিৎসার জন্য। সাধারণত করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। ব্রিটেনের সরকারের তরফেও মোলনুপিরাভির করোনা চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ১১ হাজার নমুনা পরীক্ষা কমল রাজ্যে, তবুও পজিটিভিটি রেট ঊর্ধ্বমুখীই