
কলম্বো: ২০১৫ সালের পর এই নিয়ে চতুর্থবার শ্রীলঙ্কা সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরাট আড়ম্বরে স্বাগত জানানো হয়েছে তাঁকে। দেওয়া হয়েছে সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’-ও।
জানা গিয়েছে, মোদীর দ্বীপরাষ্ট্র সফরে সাক্ষর হয়েছে একাধিক সমঝোতা পত্র বা MoU। দুই দেশের প্রতিরক্ষা, ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য-সহ একাধিক বিষয়ে সাক্ষর হয়েছে এই সমঝোতা পত্রগুলি। নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথমবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষর করল ভারত।
গত বছরেই শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্বভার নিয়েছেন অনুরা কুমার দিশানায়ক। দ্বীপরাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় নাকি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কায় আসার জন্য মৌখিক ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিশানায়ক। তারপর গত মাসেই সেদেশের সংসদে দাঁড়িয়ে মোদীর শ্রীলঙ্কা-সফরনামার কথা ঘোষণা করেন বিদেশমন্ত্রী ভিজিথা হেরাথ।
শ্রীলঙ্কা সফরে ভাষণ পর্বে মোদী বলেন, ‘গত ছয় মাসে আমরা শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ মকুব করেছি। পাশাপাশি, এবার বাকি যে টুকু ঋণ রয়েছে, তাতেও সুদের হার কমানো সিদ্ধান্ত এই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করছি। ভারত সর্বদাই শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং থাকবে। আগামী দিনে দ্বীপরাষ্ট্রের পূর্বঞ্চলীয় রাজ্যগুলির উন্নয়নের জন্য ২.৪ বিলিয়ন শ্রীলঙ্কান রুপিও খরচ করতে চলেছে ভারত।’
উল্লেখ্য, দিন কতক আগেই চিনে গিয়ে নিজেদের ‘বঙ্গোপসাগরের অভিভাবক’ বলেছিলেন বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তিনি বেজিংয়ের কাছে আর্জি করেছিলেন, সেই এলাকায় যদি কোনও চিন নিজেদের একটি বর্ধিত অংশ তৈরি করতে পারে। এই আবহে মোদী শ্রীলঙ্কা সফর কূটনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের দাবি, বাংলাদেশে যদি চিন নিজের বর্ধিত অর্থনীতি তৈরি করে, সেই ব্যবস্থা টেক্কা দিতে ভারতের একমাত্র অস্ত্র হতে পারে শ্রীলঙ্কা।