দুবাই: জলবায়ু পরিবর্তন রোখার উদ্যোগে নতুন গতি আনতে পারে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস অন ক্লাইমেট, যা সিওপি২৮ নামেও পরিচিত, সেখানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংবাদমাধ্যম আল-ইত্তিহাদে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আরও সবুজ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়েছে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে মিলিত উদ্যোগ নিচ্ছে।”
বিশ্বে অন্য়তম উদ্বেগের কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। দূষণ রোধে ও জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে নানা দেশের তরফে। ভারতের তরফেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একাধিক সওয়াল করা হয়েছে। এ দিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি সমস্যা, যার সম্মুখীন সকলেই হচ্ছে এবং এই সমস্যা প্রতিরোধে মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসঙ্গে এটিও স্বীকার করা প্রয়োজন যে উন্নয়নশীল দেশগুলি এই সমস্যার সৃষ্টি করেনি। তাও উন্নয়নশীল দেশগুলি এই সমস্য়ার সমাধানের অংশ হতে রাজি। কিন্তু তারা আর্থিক সহায়তা ও প্রযুক্তিগত সাহায্য ছাড়া এই কাজে সহায়তা করতে পারবে না। তাই আমি জলবায়ু ফিন্যান্সিং ও প্রযুক্তিগত ট্রান্সফারের পক্ষে বৈশ্বিক সহযোগিতার সওয়াল করছি।”
সাম্য, ন্যায়বিচার, ক্ষমতা ও দায়িত্বে অংশীদারিত্বের উপরে ভিত্তি করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই হওয়া উচিত, এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্লোবাল সাউথও যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইকে অন্যতম প্রাধান্য দেয়, সে কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জি২০ সামিটেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সিওপি২৮-এর অন্যতম অ্যাজেন্ডা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিকভাবে সহায়তা করা।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “দুই দেশের অংশীদারিত্বে শক্তি বন্টনের বিষয়টিও রয়েছে এবং তা স্থায়িত্ব বা সাসটেনাবিলিটির উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে। আমরা খুব খুশি যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সিওপি২৮-র আয়োজন করছে। আমি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সরকার ও নাগরিকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। চলতি বছরের জুলাই মাসেই আমি এখানে আসার সুযোগ পেয়েছিলাম। শেখ মহম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। দুই দেশই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই ও এর কারণ প্রতিরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।”
জলবায়ু বিষয়ে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “২০১৪ সাল থেকে আমরা পুনর্নবিকরণ শক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব গড়েছি। গত জুলাই মাসে সফরেও গ্রিন এনার্জি, সৌর শক্তি ও গ্রিড কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি।”