
লন্ডন: ইংল্যান্ড সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে চুক্তি হতে চলেছে দুই দেশের মধ্যে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ইংল্যান্ডের রাজা চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ এবং বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এ দিন লন্ডনে পা রাখতেই প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে স্বাগত জানান। উপস্থিত ছিলেন ইউকে ফরেন অফিস মিনিস্টার, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরসাইস্বামী এবং নয়া দিল্লির ব্রিটিশ হাই কমিশনার লিন্ডি ক্যামেরন। এই নিয়ে চতুর্থবার ব্রিটেন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি জি-২০ সামিট ও জি-৭ সামিটে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
আজ একাধিক কর্মসূচিতে ভরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি। আজই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হতে পারে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, দুই দেশেরই বাণিজ্যে সুবিধা হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বাসভবনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ইংল্যান্ডের কিং চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ এবং বৈঠক করবেন তিনি। এরপর রওনা দেবেন মলদ্বীপের উদ্দেশে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীও জানিয়েছেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্বাস্থ্য সহ একাধিক ক্ষেত্র নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এবং চুক্তি হতে পারে। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাই অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দিকে জোর দেবেন। দুই দেশের আমদানি-রফতানিতে ট্যারিফ বা শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ভারত-ব্রিটেনের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। ২০২৩-২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছিল ৫৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ হল ইংল্যান্ড। ব্রিটেনে ১ হাজারেরও বেশি ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে, যেখানে ১ লক্ষেরও বেশি কর্মী রয়েছেন।