Clash in POK: ‘কাশ্মীর আমাদের…’, শেহবাজকে হুঁশিয়ারি শওকতের! ৩৮ দফা দাবিতে ‘রণক্ষেত্র’ POK

Clash in POK News: পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীর হয়েছে অশান্ত। ৩৮ দফা দাবি ঘিরে পাক নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষজন। অভিযোগ, ওই আন্দোলন-প্রতিবাদের মাঝেই পাক নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন। আহতের সংখ্যা শতাধিক।

Clash in POK: কাশ্মীর আমাদের..., শেহবাজকে হুঁশিয়ারি শওকতের! ৩৮ দফা দাবিতে রণক্ষেত্র POK
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI | X

|

Oct 02, 2025 | 5:57 PM

ইসলামাবাদ: বুদবুদের মতো ফেটে পড়েছে পাকিস্তান। দিনের পর দিন চেপে রাখা ক্ষোভই উগড়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। নেমে পড়েছে পথে। অধিকারের লড়াইয়ে অশান্ত হয়েছে পড়শি দেশ। এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ১২ জনের। আহত শতাধিক।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীর হয়েছে অশান্ত। ৩৮ দফা দাবি ঘিরে পাক নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষজন। অভিযোগ, ওই আন্দোলন-প্রতিবাদের মাঝেই পাক নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। গত ৭২ ঘণ্টায় বেড়েছে প্রতিবাদের ঝাঁঝ। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের বেশির ভাগ এলাকায় পুলিশ-সেনায় হয়েছে ছয়লাপ, বন্ধ দোকানপাট, বিধ্বস্ত জনজীবন।

কিন্তু কেন চলছে এই প্রতিবাদ? কী কী দাবি তাদের?

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে দানা বেঁধেছে প্রতিবাদ। গর্জন তুলেছে সাধারণ মানুষ। আর তাদের নেতৃত্ব দিয়েছে জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি। করছাড়, খাদ্য-বিদ্যুৎয়ে ভর্তুকি, এলাকার বিকাশ-সহ একাধিক মৌলিক অধিকারের দাবিতে পথে নামে তারা। প্রথম দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও, বৃহস্পতিবার বাঁধে সংঘাত। আন্দোলনকারীদের রুখতে ইন্টারনেট, যানবহন-সহ একাধিক পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয় বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী। তারপরই চড়ে সংঘাত। বেঁধে যায় হাতাহাতি, চলে গুলিও।

সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় (টিভি৯ বাংলা সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যায়, মোতায়েন থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ছেন আন্দোলনকারীরা। যার পাল্টা আবার শূন্যে গুলি ছুড়তেও দেখা যায় বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তরফে জানা গিয়েছে, প্রতিবাদ-সংঘাতের মাঝে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মুজাফফরবাদে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন প্রতিবাদীর, ধীরকোটে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের, দাদেয়ালে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এছাড়াও, মৃত্যু ৩ জন পুলিশ কর্মীরও। আহত ২০০ জনের অধিক। বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ।

তবে এটা যে শুধুই সূচনা, সেই হুঙ্কার ইতিমধ্যেই দিতে শোনা গিয়েছে আন্দোলনকারী জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা বা বলা চলে অধিকৃত কাশ্মীরের বিক্ষুব্ধ নেতা শওকত নওয়াজ মীরকে। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেছেন, এই আন্দোলন তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে চলা লড়াইয়ের ‘প্ল্যান এ’। এটা কাজে না এলে এখনও ‘প্ল্যান ডি’ পর্যন্ত পুরো ছক কষা রয়েছে্। পাশাপাশি কাশ্মীর যে তাদের সেই গর্জনও স্লোগানের মাধ্যমে তুলতে শোনা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের। একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় শোনা যায়, প্রতিবাদীরা স্লোগান তুলে বলছেন, ‘কাশ্মীর আমাদের, তাই এর ভবিষ্যৎও আমরাই নির্ধারণ করব’।