Portugal Health Minister Resigns: হাসপাতালে স্থানান্তরের সময়ে মৃত্যু ভারতীয় মহিলার, ইস্তফা দিলেন ‘অনুতপ্ত’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Portugal Health Minister Resigns: স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,"টেমিডো নিজের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থা নেই আর তাঁর"।
লিসবন: বিদেশের মাটিতে মৃত্যু হল এক গর্ভবতী ভারতীয় মহিলার। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময়ে মৃত্যু হয় ওই ভারতীয় মহিলার। এই ঘটনার পরই পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্টা টেমিডো। জানা গিয়েছে, লিসবনের এক হাসপাতাল থেকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই ওই মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ওই ভারতীয় মহিলার মৃত্যু হয়েছে। লিসবনে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই গর্ভবতী মহিলা। সেখানেই তাঁর প্রসব বেদনা ওঠায় তাঁকে প্রথমে সান্টিয়া মারিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিওন্যাটোলজি বিভাগ ভর্তি থাকায় অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়। কিন্তু মাঝপথেই ওই মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর এমার্জেন্সি সিজারিয়ান সেকশন করে শিশুটিকে প্রসব করানো হয়। কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হল, তার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাটি সামনে আসার পরই পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্টা টেমিডো নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,”টেমিডো নিজের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থা নেই আর তাঁর”। তবে সূত্রের খবর, সম্প্রতিই তিনি এমার্জেন্সি ওবস্টেট্কিকল সার্ভিস বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তার জেরেই গর্ভবতী মহিলাদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার ওই ভারতীয় মহিলার মৃত্যুর পরই তিনি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রকাশিত বিবৃতিতেও জানানো হয়েছে, পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টোনিও কোস্টা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন এবং দীর্ঘদিনের পরিষেবার জন্য ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময়ে দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন মার্টা টেমিডোর। কিন্তু এমার্জেন্সি অবস্টেট্রিক সার্ভিস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কারণে চিকিৎসকদের তুমুল সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন।