Russia Ukraine War: ট্রাম্প-জেলেনস্কির ঘুম উড়িয়ে রুশ হামলায় আঁধারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

Russia Ukraine War: আচমকাই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্ধকারে ডুবে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। আশঙ্কিত হয়ে পড়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরমাণু নজরদারি বিভাগ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা IAEA পর্যন্ত। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র জাপোরিঝজিয়া। বিদ্যুৎ না থাকায় শক্তিকেন্দ্রের ভিতরের পারমাণবিক জ্বালানিকে ঠান্ডা রাখতে সর্বক্ষণ ডিজেল ইঞ্জিন চালিয়ে রাখতে হয় ইউক্রেনকে।

Russia Ukraine War: ট্রাম্প-জেলেনস্কির ঘুম উড়িয়ে রুশ হামলায় আঁধারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 05, 2025 | 7:26 PM

কিভ: ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।’ বড় অভিযোগ তুলল ইউক্রেন। কেন? না, ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে ফোনে বাৰ্তালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিভ লক্ষ্য করে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল-সহ হামলা চালাল রাশিয়া। এক দু ঘণ্টা নয়! একটানা ৭ ঘণ্টার রুশ ‘অপারেশন’ চলল কিভের আকাশপথে। রুশ হামলায় ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়া নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। আচমকাই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্ধকারে ডুবে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। আশঙ্কিত হয়ে পড়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পরমাণু নজরদারি বিভাগ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা IAEA পর্যন্ত। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র জাপোরিঝজিয়া। বিদ্যুৎ না থাকায় শক্তিকেন্দ্রের ভিতরের পারমাণবিক জ্বালানিকে ঠান্ডা রাখতে সর্বক্ষণ ডিজেল ইঞ্জিন চালিয়ে রাখতে হয় ইউক্রেনকে।

জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বা ‘অ্যাক্ট অফ টেরর’ বলেছেন। অন্তত সাড়ে ৫০০ ড্রোন, ব্যালিস্টিক মিসাইল-সহযোগে হামলা করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের। তাঁর দাবি, রাশিয়া যে আলোচনা চায় না, পুতিনের এই আচরণ থেকেই সেটা স্পষ্ট। বস্তুত, রুশ হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেনও। বেশ কয়েকজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। যদিও জেলেনস্কি এটাও দাবি করেছেন, তাদের ইন্টারসেপ্টার মিসাইল রুশ ড্রোন হামলাকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। রাতেই রুশ হামলা আটকাতে দেশের মনোবল বাড়াতে তড়িঘড়ি ভিডিও বিবৃতি জারি করতে হয় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নেটো-র কাছে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল আরও বেশি করে পাঠানোর কথা বলবেন। দেশেও উৎপাদন বাড়ানোয় জোর দেবেন। ইউক্রেনও অবশ্য বেশ কয়েক ডজন ড্রোন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ লক্ষ্য করে ছুড়েছে। যার মধ্যে দুটো ড্রোন একদম কাছাকাছি এসে যাওয়ার পর সেগুলি মাঝআকাশেই নষ্ট করেছে রুশ সেনা।

হামলার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোন যায় জেলেনস্কির কাছে। ট্রাম্পের মন খারাপ! কারণ, ভেবেছিলেন আসন্ন নির্বাচনী প্রচারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর দাবিটা করতে পারবেন। কিন্তু পুতিনের আচরণে সে গুড়ে আপাতত বালি। জেলেনস্কি বলেছেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। মার্কিন ‘প্যাট্রিয়ট মিসাইল’ পাঠানো হবে ইউক্রেনে, একই ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পও। যুদ্ধের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশই যুদ্ধবন্দী আদানপ্রদান করেছে। গতমাসে ইস্তানবুলে আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত অবশ্য আগেই নেওয়া হয়েছিল।