China’s Mega Dam: রাতারাতি ডুবে যাবে ভারত-বাংলাদেশ? চিন শুরু করে দিল ‘মেগা ড্যামে’র কাজ

China: ভারতে যা ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত, তা-ই চিনে ইয়ারলুং সাঙ্গপো নামে পরিচিত। চিন থেকে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র ভারতে প্রবেশ করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চিন এই বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল।

Chinas Mega Dam: রাতারাতি ডুবে যাবে ভারত-বাংলাদেশ? চিন শুরু করে দিল মেগা ড্যামের কাজ
চিনের ইয়ারলুং সাঙ্গপো নদীর উপরে বাঁধের কাজ শুরু হল। Image Credit source: X

|

Jul 20, 2025 | 6:46 AM

বেজিং: ভারতের চিন্তা বাড়ল আরও। চিন শুরু করে দিল তাদের মেগা-ড্যামের কাজ। তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদীর উপরে এই বাঁধের কাজ শুরু করেছে চিন। আর এতেই আশঙ্কায় ভারত, কারণ এই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে এবং তা থেকে হঠাৎ জল ছাড়লে অরুণাচল প্রদেশ, অসম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশ প্লাবিত হতে পারে। ডুবে যেতে পারে বাংলাদেশও।

ভারতে যা ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত, তা-ই চিনে ইয়ারলুং সাঙ্গপো নামে পরিচিত। চিন থেকে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র ভারতে প্রবেশ করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চিন এই বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল। এর জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দও হয়ে গিয়েছিল। বেজিং গত ডিসেম্বরে বাঁধ নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয়। এরপর গতকাল, শনিবার থেকে চিন এই বাঁধ নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে। প্রিমিয়ার লি কোয়াং উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

চিনের দাবি, এই বাঁধ দিয়ে তারা জল বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা তিব্বতের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে এবং চিনের অন্যান্য প্রদেশেও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এই বাঁধে মোট ৫টি হাইড্রোপাওয়ার স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। এর জন্য প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইয়ান অর্থাৎ ১৬৭.১ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় হবে বলেই অনুমান।

এই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে তাতে চিনের উপকার হলেও, ভারত ও বাংলাদেশকে তা বিপদের মুখে ফেলে দেবে।  চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ভারত চিনের এই বাঁধ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। চিনকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে তাদের কাজকর্মে যেন ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রাজ্যগুলির ক্ষতি না হয়। সেই সময় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল যে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হতে পারে।

সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুও জানিয়েছিলেন, এই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে, তা ‘জল বোমা’র মতো কাজ করবে। অরুণাচল প্রদেশের মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে যাবে। যদিও চিন আশ্বস্ত করে জানিয়েছিল যে তাদের এই বাঁধে ব্রহ্মপুত্রে কোনও নেতিবাচক প্রভাব অর্থাৎ হঠাৎ প্লাবন বা হড়পা বানের মতো দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না। তারা ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগও রাখবে।