ঢাকা: কখনও বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুর। কখনও হামলার মুখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বাংলাদেশে এই ছবি এখন যেন অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনৈতিক হিংসার আঁচে যে তাপ লাগবে সাধারণেরও, তা আগাম টের পায়নি কেউই।
পালাবদলের পর থেকেই সেদেশের অন্দরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসা। বাড়ে দুর্বৃত্তরাজ। আর সেই নৈরাজ্য পরিস্থিতিকেই হাতিয়ার করে ফেলেছে আরও এক দল। গতকালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই রবিবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত, মাত্র দু’ঘণ্টায় ঘটেছে ৮৩টি ডাকাতির ঘটনা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, দেশের অন্দরের অস্থির পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে এক দুষ্কৃতী দল। দিন-রাত কোনও কিছুই মানছে না তারা। কোথাও চালাচ্ছে চুরি। কোথাও চালাচ্ছে ডাকাতি। দেশের একাধিক জায়গায় বাড়ছে ধর্ষণের মতো ঘটনাও। এই পরিস্থিতিতে জনগণকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ৭৩টি ধর্ষণকাণ্ডের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাংলাদেশে।
নৈরাজ্যের বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে হাতিয়ার করেই অপরাধের ঘটনা পারদের মতো চড়ছে বলে মত একাংশের। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি সড়ককেই নিরাপত্তা ঢাকতে মরিয়া হয়ে পড়েছে প্রশাসন।
সোমবার বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম জানান, ‘রাত হলেই বাড়ছে ডাকাতি ও ছিনতাই। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে দিনের আলোতেও তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাই এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে শহর ও গ্রামের রাস্তায় অভিযানে নামবে মেট্রোপলিটন পুলিশ, ব়্যাব ও সন্ত্রাসদমন শাখার জওয়ানরা। আজ থেকে নিরাপত্তার মোড়কে ঢাকা হবে দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে।’
এরপরেই ডেভিল হান্টের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট আমরাই শুরু করেছিলাম। সেই অভিযানে ইতিমধ্যে বড় সাফল্য বাংলাদেশ পুলিশ। গ্রেফতার হয়ে বহু বড় বড় অপরাধী।’