একা পারছে না তালিবান, এবার দোসর আল কায়েদা! তবু মাথা নোওয়াচ্ছে না পঞ্জশীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 03, 2021 | 9:57 AM

পঞ্জশীরের প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি, এতদিন তালিবানরাই কেবল হামলা চালাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার থেকেই হঠাৎ করে তাদের বাহিনীর আকার বৃদ্ধি পেয়েছে।

একা পারছে না তালিবান, এবার দোসর আল কায়েদা! তবু মাথা নোওয়াচ্ছে না পঞ্জশীর
পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত প্রতিরোধ বাহিনীও। ছবি:PTI

Follow Us

পঞ্জশীর: মঙ্গলবারের রাত থেকেই তালিবান(Taliban)-র সঙ্গে সংঘর্ষ  শুরু হয়েছে পঞ্জশীরের প্রতিরোধ বাহিনী (Resistance Force)। টানা ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চালালেও পঞ্জশীর(Panjshir)-র একচুল জমিও দখল করতে পারেনি তালিবান। এ বার তাদেরই সাহায্য করতে এগিয়ে এল আল কায়েদা। মাসুদ বাহিনীর দাবি, তালিবানের পাশাপাশি আল কায়েদা (Al Qaeda) জঙ্গিরাও পঞ্জশীর দখল করার চেষ্টা করছে।

গত ১৫ অগস্টই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবানরা। গোটা দেশে নিজেদের আধিপত্য দাবি করলেও দেশের উত্তর ভাগেই অবস্থিত পাহাড় ঘেরা পঞ্জশীর উপত্য়কা দখল করতে পারছে না তারা।সেখানে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছো প্রতিরোধ বাহিনী। সাধারণ মানুষ থেকে আফগান সেনা, তালিবানের হাত থেকে বেঁচে তারা এই প্রতিরোধ বাহিনীতেই নাম লেখাচ্ছে। দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহও পঞ্জশীরেই আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম টোলো নিউজের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত দুই দিন ধরে একটানা লড়াই চলছে পঞ্জশীরে। তালিবান ও প্রতিরোধ বাহিনী- দুই বাহিনীই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রাণহানিও হয়েছে অনেক। তালিবানের তরফে দাবি করা হয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করা হলেও, সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। পঞ্জশীরে তারা লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। প্রতিরোধ বাহিনীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

পঞ্জশীরের প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি, এতদিন তালিবানরাই কেবল হামলা চালাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার থেকেই হঠাৎ করে তাদের বাহিনীর আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আল কায়েদা জঙ্গিরাও তালিবানকে সহায়তা করছে এবং পঞ্জশীরের উপর হামলা চালাচ্ছে। প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য়রা যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে লড়াই জারি রাখার।

তালিবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য আনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, “পঞ্জশীরে ইসলামিক এমিরেটসের মুজাহিদ্দিন বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়েছে। মুজাহিদ্দিন বাহিনীও পাল্টা জবাব দিয়েছে এবং প্রতিরোদ বাহিনীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে।” তালিবান নেতা আমির খান মুত্তাকি জানান, পঞ্জশীরের প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসলেও, তা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এখনও তালিবান যাবতীয় সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে চায়।

উল্টোদিকেই পঞ্জশীরের প্রতিরোধ বাহিনী বা নর্দান অ্যালায়েন্সের তরফে দাবি, তালিবানই প্রথম হামলা চালিয়েছিল। তারা কেবল সেই হামলার প্রতিরোধ করেছে এবং তালিবানকে ফের পঞ্জশীরের সীমানার বাইরেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিবান বাহিনীর বহু সদস্যের প্রাণহানিও হয়েছে।

প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র ফহিম দাস্তি বলেন, “বিগত ৪০ ঘণ্টায় তালিবান বাঘলানের আন্দারাব উপত্যকা থেকে খোয়াক অঞ্চলের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের তরফ থেকেও স্থানীয় বাহিনীরা তালিব বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে। আফগান বাহিনীও আমাদের সাহায্য় করেছে। প্রতিরোধ বাহিনীর সামনে টিকতেও পারেনি তালিবান বাহিনী। তাদের কমপক্ষে ১১৫ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০০ জন আহত হয়েছে। ৫৫জনকে আটক করেছি আমরা।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই পঞ্জশীরের পারওয়ান প্রদেশ, খোয়াক পঞ্জশীর ও আন্দারাব জেলায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। মাসুদ বাহিনী জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩৫০ জন তালিবানের মৃত্যু হয়েছে। ৪০ জনেরও বেশি তালিবানকে আটক করে বন্দি বানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে আমেরিকা! যাওয়ার আগে ‘জাতীয় সম্পত্তি’ নষ্ট করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তালিবান

Next Article