লন্ডন: আগামী মাসে যদি তাঁর বদলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রস, তাহলে সেই সরকারে তিনি কোনও ভূমিকায় কাজ করবেন না। মঙ্গলবার (২৩ অগস্ট) এমনই ইঙ্গিত দিলেন ঋষি সুনাক। টোরি দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে একেবারে শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি। কিন্তু, শেষ দৌড়ে লিজ ট্রস অনেকটাই এগিয়ে আছেন। জনমত সমীক্ষার ফল লিজ ট্রসকেই এগিয়ে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতেই ঋষি সুনার ইঙ্গিত দিলেন, পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে না পারলে, নয়া সরকারে তিনি আর কোনও দায়িত্ব নেবেন না।
বিবিসি রেডিও ২ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এদিন বলেছেন, “গত কয়েক বছরে সরকারে এবং মন্ত্রিসভায় থাকার বিষয়ে আমি একটি জিনিস বুঝেছি – আপনাকে সত্যিই বড় বিষয়গুলিতে একমত হতে হবে। কারণ, যখন আপনি একমত না হতে পারেন, তা হলে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। যেমনটা আমার সঙ্গে হয়েছিল। আমি আবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে চাই না।” জনমত সমীক্ষার ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী মাসে টোরি দলের নেতা বাছাইয়ের শেষ দৌড়ে হারতে চলেছেন ঋষি সুনাক।
গত মাসে ব্রিটিশ সরকারের চ্যান্সেলর পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। তারপর থেকে একের পর এক ব্যক্তি বরিস জনসন সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। যার জেরে শেষ পর্যন্ত সরতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। এরপরই টোরি দলের পরবর্তী নেতা বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে শেষ দৌড়ে রয়েছেন সুনাক এবং লিজ ট্রস। ট্রসের সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে তাঁর মতবিরোধে রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এতদিন দাবি করা হচ্ছিল লিজ ট্রস প্রধানমন্ত্রী হলে, তাঁর অধীনে স্বাস্থ্য সচিব হতে পারেন ঋষি সুনাক। তবে, তাঁর এদিনের বক্তব্যের পর সেই সম্ভাবনা আর নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট সম্পর্কে ঋষি সুনাক বলেছেন, “আমি এই ধরনের রিপোর্টগুলির উপর ফোকাস করছি না, এবং আমি মনে করি লিজও করছেন না। আমি আমার বা অন্য কারোর চাকরির কথা ভাবছিই না।”