Yevgeny Prigozhin: বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রিগোজ়িনের, ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখিয়ে প্রমাণ দিল রাশিয়া

Russia: রবিবার রাশিয়ার তদন্তকারী বাহিনীর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেহ চিহ্নিতকরণ সম্ভব হয়েছে। মৃতদের তালিকায় ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ও তাঁর সঙ্গী দিমিত্রি উতক্রিনের নাম রয়েছে।

Yevgeny Prigozhin: বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রিগোজ়িনের, ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখিয়ে প্রমাণ দিল রাশিয়া
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।Image Credit source: Twitter

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 28, 2023 | 8:09 AM

মস্কো: প্রিগোজ়িন আর বেঁচে নেই! অবশেষে ঘোষণা করল রাশিয়া(Russia)। বুধবারই সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। যাত্রী তালিকা দেখে জানা যায়, ওই বিমানে ছিলেন রাশিয়ার ওয়াগনার (Wagner) বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন (Yevgeny Prigozhin)। বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্য়ু হয়েছে বলেই জানানো হয়। তবুও প্রিগোজ়িনের মৃত্যু ঘিরে কিছু ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছিল। অবশেষে ফরেন্সিক পরীক্ষার পর রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটির তরফে প্রিগোজ়িনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হল। জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ১০ জনের মধ্যে একজন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান। অপর এক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতক্রিনেরও মৃত্যু হয়েছে বিমান দুর্ঘটনায়, এমনটাই জানানো হয়েছে।

রবিবার রাশিয়ার তদন্তকারী বাহিনীর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেহ চিহ্নিতকরণ সম্ভব হয়েছে। মৃতদের তালিকায় ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ও তাঁর সঙ্গী দিমিত্রি উতক্রিনের নাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহর বুধবারই রাশিয়ার অসামরিক উড়ান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, গত বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে যে বিমানটি ভেঙে পড়ে, তাতে ১০ জন যাত্রীর মধ্য়ে প্রিগোজ়িনও ছিলেন।

কে এই প্রিগোজিন?

রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যবাহিনী ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ছিলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন তিনি। ১৫ বছর জেল খেটে মুক্তি পাওয়ার পর প্রিগোজিন সেন্ট পিটার্সবার্গে হটডগ বিক্রি করতেন। সেখান থেকে টাকা জমিয়ে তিনি রেস্তোরাঁ খোলেন। ওখানেই আলাপ হয় পুতিনের সঙ্গে। সেই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই ক্রেমলিনে খাবার সরবরাহের বরাত পান প্রিগোজিন। দেখতে দেখতেই হয়ে যান পুতিনের শেফও। এরপর ২০১৪ সালে হঠাৎ পেশা বদল। ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন  নিজের ব্য়ক্তিগত মিলিটারি সংস্থা ওয়াগনারের ঘোষণা করেন।
সম্প্রতিই পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন প্রিগোজিন। সরাসরি পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দেন। নিজের বাহিনী নিয়ে মস্কোর দিকে এগোতেও থাকেন। প্রিগোজিনের এই বিদ্রোহকে বিশ্বাসঘাতকতা বলেছিলেন পুতিন। আর এই বিদ্রোহের কয়েক মাসের মধ্যেই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে রহস্য ঘনিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, প্রিগোজিনের মৃত্যুতে পুতিনের হাত রয়েছে। যদিও রাশিয়ার তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।