
নতুন বছরের শুরুটাই হয়েছিল চাপা একটা আতঙ্ক নিয়ে। ইউক্রেনের (Ukraine) বিভিন্ন সীমান্তে বাড়তে শুরু করেছিল রাশিয়ার (Russia) মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর সংখ্যা। কিন্তু মাস ঘুরতেই পরিস্থিতি যে এই মোড় নেবে, তা হয়তো কল্পনা করেনি গোটা বিশ্বই। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করলেন। তবেই মুখেই তা সামরিক অভিযান ছিল, আসলে যে তা যুদ্ধ, বুঝতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েকদিন। ডনবাস, লুহাৎস্ক, দোনেৎস্ক- একের পর এক ইউক্রেনীয় অঞ্চলে প্রবেশ করল রুশ সেনা। শুরু হল মিসাইল হামলা।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনে নিও-নাৎসিরা শক্তি বাড়াচ্ছে, তাদের দমন করতেই এই বিশেষ সামরিক অভিযান। তবে তাঁর ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইউক্রেনের আকাশ মুখরিত হল ক্ষেপমাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানের শব্দে। প্রাণের ভয়ে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিলেন বাঙ্কারে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অব্যবহৃতই পড়েছিল। যুদ্ধের তিনদিনের মধ্যেই চেরোনোবিল পরমাণু কেন্দ্র ও তার আশেপাশের জায়গা দখল করল রুশ সেনা। তাদের পরবর্তী নিশানা হয়ে উঠল ইউক্রেনে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ঝাপরজ়িয়া। তবে পিছু হটার পাত্র নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। রাশিয়াকে একচুল জমিও ছাড়বেন না তারা, এ কথা ঘোষণা করে নিজেই হাতে তুলে নিলেন বন্দুক, নেমে পড়লেন যুদ্ধক্ষেত্রে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নতুন বছরের শুরুটাই হয়েছিল চাপা একটা আতঙ্ক নিয়ে। ইউক্রেনের বিভিন্ন সীমান্তে বাড়তে শুরু করেছিল রাশিয়ার মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর সংখ্যা। কিন্তু মাস ঘুরতেই পরিস্থিতি যে এই মোড় নেবে, তা হয়তো কল্পনা করেনি গোটা বিশ্বই। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করলেন। তবেই মুখেই তা সামরিক অভিযান ছিল, আসলে যে তা যুদ্ধ, বুঝতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েকদিন। ডনবাস, লুহাৎস্ক, দোনেৎস্ক- একের পর এক ইউক্রেনীয় অঞ্চলে প্রবেশ করল রুশ সেনা। শুরু হল মিসাইল হামলা।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনে নিও-নাৎসিরা শক্তি বাড়াচ্ছে, তাদের দমন করতেই এই বিশেষ সামরিক অভিযান। তবে তাঁর ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইউক্রেনের আকাশ মুখরিত হল ক্ষেপমাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমানের শব্দে। প্রাণের ভয়ে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিলেন বাঙ্কারে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অব্যবহৃতই পড়েছিল। যুদ্ধের তিনদিনের মধ্যেই চেরোনোবিল পরমাণু কেন্দ্র ও তার আশেপাশের জায়গা দখল করল রুশ সেনা। তাদের পরবর্তী নিশানা হয়ে উঠল ইউক্রেনে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ঝাপরজ়িয়া। তবে পিছু হটার পাত্র নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। রাশিয়াকে একচুল জমিও ছাড়বেন না তারা, এ কথা ঘোষণা করে নিজেই হাতে তুলে নিলেন বন্দুক, নেমে পড়লেন যুদ্ধক্ষেত্রে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে রুশ সেনা যত অগ্রসর হতে লাগল, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠল গণহত্য়ার অভিযোগ। ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ যেমন প্রাণ হারালেন, তেমনই জীবনসঙ্কটে পড়ল সে দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারাও। তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে কথা বললেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। যুদ্ধের বদলে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার পররামর্শ দিলেন। এদিকে, ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করে আনার জন্য ‘মিশন বন্দে ভারত’ চালু হল। রোমানিয়া, হাঙ্গেরি সহ মোট ৪টি দেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়াদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনা হয়।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চেও ওঠে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গ। আমেরিকা সহ ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোর কথা ঘোষণা করে। শুরু হয় সামরিক ও মানবিক সাহায্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভোটাভুটিতে ভারত অধিকাংশ সময় ভোটদানে বিরত থাকলেও যুদ্ধের বদলে শান্তিপূর্ণভাবে কূটনৈতিকস্তরে আলোচনার পরামর্শ বারংবার দিয়েছে ভারত।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজারে তেলের সঙ্কট দেখা গেল। হু হু করে বাড়তে থাকল অপরিশোধিত ক্রুড তেলের দাম। প্রভাব পড়ল পেট্রোল-ডিজেল থেকে শুরু করে সাধারণ পণ্যের দামেও। বিগত কয়েক মাসে রাশিয়া যেমন ইউক্রেনের একাধিক শহর দখল করেছে, তেমনই অনেক শহরই ফের ছিনিয়ে নিতেও সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১০ মাস। এখনও থামেনি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ। একদিকে যেখানে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন, তেমনই যুদ্ধে যেতে রাজি নন রাশিয়ার সৈনিকরাও। প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে সাধারণ মানুষ, অবসরপ্রাপ্ত সেনাদেরও ফের নামতে হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। যুদ্ধের প্রভাব শুধুমাত্র যে দুই দেশই ভুগছে, তা নয়। আর্থিকভাবে দুর্বল একাধিক দেশই চরম সঙ্কটে পড়েছে এই যুদ্ধের জন্য। যুদ্ধের বীভৎসতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমলেও, দূর-দূরান্তে এখনও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত নেই।