Russia-US Drone Clash: বেপরোয়া গতি, মার্কিন ড্রোনে ধাক্কা মারার আগে ইচ্ছাকৃতভাবেই জ্বালানি ফেলেছিল রাশিয়ার ফাইটার জেট?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Mar 15, 2023 | 7:10 AM

Drone-Fighter Jet Clash: মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের জানান, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার বিমানের গতিবিধি খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘটনায় প্রমাণিত হল কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ও অপেশাদারভাবে বিমান চালানো হচ্ছিল।

Russia-US Drone Clash: বেপরোয়া গতি, মার্কিন ড্রোনে ধাক্কা মারার আগে ইচ্ছাকৃতভাবেই জ্বালানি ফেলেছিল রাশিয়ার ফাইটার জেট?
ফাইল চিত্র

Follow Us

ওয়াশিংটন: আমেরিকান ড্রোনের (US Drone) সঙ্গে সংঘর্ষ রাশিয়ার ফাইটার জেটের (Russian Fighter Jet)। মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে (Black Sea) মার্কিন ড্রোনের উপরে জ্বালানি ফেলে দিল রাশিয়ার ফাইটার জেটের। এরপরই সংঘর্ষ হয় ড্রোনের সঙ্গে। কৃষ্ণসাগরের উপরই ভেঙে পড়ে ড্রোন। মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর তরফে এই কথা জানানো হয়। যদিও রাশিয়া মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের কথা মানতে নারাজ।

মার্কিন ইউরোপীয়ান কম্যান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কৃষ্ণসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমার উপরে দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ ফাইটার জেটের সঙ্গে মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের সংঘর্ষ হয়। মার্কিন কম্যান্ডের তরফে দাবি করা হয়েছে,  সংঘর্ষের আগে একাধিকবার রাশিয়ার এসইউ-২৭ ফাইটার জেট মার্কিন ড্রোনের উপরে জ্বালানি ফেলে দেয়। এমকিউ-৯ ড্রোনের সামনে দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে ফাইটার জেট ওড়ানো হচ্ছিল। পরিবেশের জন্য ক্ষতিপূর্ণ ও অত্যন্ত অপেশাদার পদ্ধতিতে ফাইটার জেটগুলি ওড়ানো হচ্ছিল বলেই অভিযোগ করা হয়। সংবাদসংস্থা এএফপি-র তরফেও কৃষ্ণসাগরে মার্কিন জেট ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে।

মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের জানান, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার বিমানের গতিবিধি খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘটনায় প্রমাণিত হল কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ও অপেশাদারভাবে বিমান চালানো হচ্ছিল। ব্রাসেলসে ন্যাটো-র কূটনীতিবিদরাও এই সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও মস্কোর তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, পশ্চিমী মিলিটারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ড্রোন ও ফাইটার জেটের মধ্যে সংঘর্ষের পরেই রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে যাতে আর সংঘর্ষ না হয় বা বিবাদের জল আর না গড়ায়, তার জন্যই এই আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। সামরিক থেকে মানবিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে আমেরিকা। সেই কারণেই রাশিয়ার রাগ আমেরিকার উপর। এই ড্রোন সংঘর্ষ সেই ঘটনারই প্রেক্ষিতে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Next Article