আমেরিকার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার উপর ইউক্রেনের হামলার পরে, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই মতোই দু’দিন আগে নতুন ‘ইন্টারকন্টিনেনটাল ব্যালেস্টিক মিসাইল’ দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালায় পুতিন প্রশাসন। যা নিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়তে হয় ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। এই ধরনের হামলা একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল ইউক্রেনের কাছে।
তবে তার পরেও শান্তি নেই। শুক্রবার ইউক্রেনে নিক্ষেপ করা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আরও বেশি করে ব্যবহার করা হবে জানিয়েছেন পুতিন। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনের পার্লামেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিবৃতি সামনে এসেছে।
ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর পুতিন আরও বেশি করে নতুন ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে
পুতিন বলেন, “আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আরও বেশি করে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে যাব।” এমনকি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ধারাবাহিক উৎপাদন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পুতিন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার জানান, নতুন এই বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে, তা মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের ‘মিত্র’ দেশগুলির কাছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্ত করতে আধুনিক বিমান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
নতুন অস্ত্রের ব্যবহার, প্রায় তিন বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার রাশিয়া ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখল করেছে বলেও জানিয়েছে। সর্বোপরি নতুন এই সব অস্ত্রের ব্যবহার পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও উস্কে দিচ্ছে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।