মস্কো: যুদ্ধের ১১দিন পার হয়ে গিয়েছে, তবুও ইউক্রেন(Ukraine)-কে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ রাশিয়া (Russia)। যেকোনও প্রকারেই নিজের লক্ষ্য অর্জন করবেনই, রবিবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি জানান, যতক্ষণ না কিয়েভ (Kyiv) আত্মসমর্পণ করছে, ততক্ষণ অবধি রাশিয়া সামরিক অভিযান জারিই রাখবে। আজ, ৭ মার্চই পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তে ফের একবার বৈঠকে বসার কথা দুই দেশের। তবে মৃত্যু, ধ্বংসলীলা বা সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখে রাশিয়া যে নিজের দাবি থেকে পিছু হটবে না, সে কথা ভালভাবেই বুঝিয়ে দিলেন পুতিন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপরে হামলা শুরু করার পর থেকেই দেশ ছাড়তে শুরু করেছে লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনবাসী। রবিবারই জানানো হয়, রিফিউজির সংখ্যা ১৫ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। তবে যুদ্ধের ময়দান এখনই ছাড়তে রাজি নয় রাশিয়া, এই বার্তা দিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার যে লক্ষ্য রয়েছে, তা আলোচনাই হোক বা যুদ্ধের মাধ্যমে, তা অর্জন করাই হবে”। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ-র সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এই কথা জানান পুতিন।
ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসী হামলার জেরে এখনও অবধি ৩৫১ জন ইউক্রেনীয়র প্রাণহানি হয়েছে। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ৪৯৮ জন রাশিয়ার সৈন্যদেরও খতম করা হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের উপরে রুশ হামলার জেরে এখনও অবধি প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি ইউক্রেনীয়দের দেশ ছাড়তে হয়েছে। তারা প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া, পোল্যান্ড ও মলডোভায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বেই, বিশেষ করে ইউরোপে রিফিউজি সমস্যা ফের একবাৈর মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
তবে গত সপ্তাহে বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেন সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মানবিক করিডর তৈরির প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। বিগত দুই দিনে দু’বার রাশিয়ার তরফে সাময়িক যুদ্ধবিরতিরও ঘোষণা করা হয়। যদিও ইউক্রেনের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির সময়ও সাধারণ নাগরিকদের উপরে গুলি ও আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict : যুদ্ধবিরতির দিন গুনছেন, সুমিতে এখনও আটকে ভারতের ৭০০ জন পড়ুয়া