মস্কো: তিন বছরের বেশি সময় ধরে দুই দেশের লড়াই চলছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় ইচ্ছুক ইউক্রেন। আমেরিকাও এই প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ইউক্রেনের শান্তিচুক্তি প্রস্তাব এবং আমেরিকার মধ্যস্থতার পর কথা বলতে রাজি রাশিয়াও। তবে চুক্তিতে কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে যুদ্ধ থামানো নিয়ে উদ্যোগের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন তিনি। এই ‘নোবেল মিশন’-এ গুরুত্বপূর্ণ সময় দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানান পুতিন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, “ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগকে সমর্থন করি আমরা। কিন্তু, কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারি।” এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পুতিন।
এরপরই নরেন্দ্র মোদী-সহ একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানকেও ধন্যবাদ জানান পুতিন। তিনি বলেন, “চিনের রাষ্ট্রপতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা তাঁদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ, তাঁরা একটা নোবেল মিশনে উদ্যোগী হয়েছেন। প্রাণহানি বন্ধ ও শত্রুতার অবসানের উদ্যোগ নিয়েছেন।” বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন পুতিন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত একাধিক বলেছে, আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। গত বছরের জুলাইয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অগস্টে ইউক্রেন সফরে যান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, ভারত চায় আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন মোদী। গতমাসে আমেরিকা সফরে গিয়ে মোদী স্পষ্ট করে দেন, নয়াদিল্লি চায় আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান হোক। হোয়াইট হাউসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বলেন, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সবসময় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেছি। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে ভারত নিরপেক্ষ। কিন্তু, আমি আবারও বলতে চাই, ভারত নিরপেক্ষ নয়। আমরা শান্তির পক্ষে।”