মস্কো: রাশিয়ার মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে আইএস জঙ্গিদের ন্যক্কারজনক হামলার পর দুটো দিন কেটে গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ বন্দুকবাজ-সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন চলছে, জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বীকারোক্তি আদায়ের পর্ব। আর রুশ সেনার জেরা যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার একের পর এক ভিডিয়ো আসছে সামনে। গত শনিবারই (২৩ মার্চ), রুশ সেনার জেরার এক ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রুশ নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখা গিয়েছিল এক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীর কান কেটে, তাকে সেই কাটা কান খেতে বাধ্য করতে। এবার, সামনে এল একই ধরনের আরও এক জিজ্ঞাসাবাদ তথা নির্যাতনের ভিডিয়ো ফুটেজ। এবার জঙ্গির গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দিতে দেখা গেল রুশ সেনাকর্মীদের।
রুশ বেসরকারি যোদ্ধা গোষ্ঠী, ‘ওয়াগনার’-এর এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে, এই নির্যাতনের ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিয়ো ফুটেজে, শামসুদ্দিন ফরিদ্দুন নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে দেখা যাচ্ছে মেঝেতে প্যান্ট খুলে মেঝেতে শুয়ে থাকতে। তাঁর যৌনাঙ্গে লাগানো আছে তার, সেই তারের অপর প্রান্ত লাগানো আছে একটি ব্যাটারির সঙ্গে। শামসুদ্দিনের হাঁটুতে পা চেপে দাঁড়িয়ে আছেন রুশ সিকিউরিটি সার্ভিসের এক কর্তা। সুইচ অন করতেই, শামসুদ্দিনকে দেখা যায় প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে দাঁতে দাঁত চেপে ধরতে। ওয়াগনার গোষ্ঠী জানিয়েছে, এটাই রাশিয়ায় জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদের সাধারণ কৌশল। তারা জানিয়েছে, ওই তার দিয়ে ৮০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাঠানো হয়। তারটি জঙ্গির আঙ্গুল, কান বা যৌনাঙ্গে যুক্ত থাকে। নির্যআতনের মাত্রা বাড়াতে বন্দী জঙ্গির গোটা গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় জল।
কারও কেটে নেওয়া হয়েছে কান, কারও চোখে কালশিটে, কেউ হুইল চেয়ারে – বন্দি জঙ্গিদের ‘জামাই আদর’ রাশিয়ার
একই টেলিগ্রাম চ্যানেলে আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভিডিয়োতে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের মুহূর্ত ধরা আছে। ভিডিয়োতে অভিযুক্ত এক জঙ্গিকে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে অপরাধ স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে। সে জানায়, ৫ লক্ষ রুবেলের (ভারতীয় মুদ্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা) জন্য সে হামলা চালিয়েছিল। এদিকে জনা গিয়েছে, রাশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন এবং ব্রিটিশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাশিয়ার রাজধানীতে মস্কোয় সম্চ্রাসবাদী হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল রুশ কর্তৃপক্ষকে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে একই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল পুতিনের নিরাপত্তা প্রধানদের কাছেও। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন অবশ্য এই সতর্কতাগুলিকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।