
কিয়েভ : দুই মাস পেরিয়ে গিয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। প্রতিদিনই এক একটি নতুন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এদিকে এই যুদ্ধে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে আমেরিকা। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযান ঘোষণা শুরুর অনেক আগে থেকেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জ়ো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইউক্রেন থেকে তাঁর নজর সরানোর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব উপেক্ষা করে পুতিন সামরিক অভিযান ঘোষণা করলে আমেরিকা সহ বিভিন্ন পশ্চিমি দেশ রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এমনকী রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদেও আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার নিন্দা প্রস্তাব আনে। আমেরিকার এসব পদক্ষেপ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি রাশিয়া। এই পদক্ষেপের জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এবার সরাসরি আমেরিকার ক্ষতি করল রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে প্রথম থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা। রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য়ও পাঠিয়েছে আমেরিকা। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের ওডেসার কাছে অবস্থিত এক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আমেরিকার পাঠানো অস্ত্র ধ্বংস করেছে রাশিয়া। এর পাশাপাশি রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, সেই বিমানঘাঁটির রানওয়েও ধ্বংস করেছে রুশ সেনাবাহিনী। ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম মার্চেনকো জানিয়েছেন যে, রাশিয়া ক্রাইমিয়া থেকে ব্যাস্টিয়ন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে যে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খারকিভ অঞ্চলে রাতারাতি দুটি ইউক্রেনীয় Su-24m বোমারু বিমানকে গুলি করে ধ্বংস করেছে।
উল্লেখ্য, আমেরিকা সম্প্রতি ৩৩ বিলিয়ন ডলার সাহায্য়ের ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের জন্য। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। এই আবহে আমেরিকার ইউক্রেনের এক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আমেরিকার বড় ক্ষতি করল রুশ সেনা।
আরও পড়ুন : British Parliament Controversy: আত্মগ্লানিতে ইস্তফা সাংসদের, স্বীকার করলেন আগেও সংসদে বসে পর্ন দেখেছেন!