Cholera In Nepal : কলেরা আতঙ্কে দিশাহারা আম জনতা, নিষিদ্ধ হল সাধের ফুচকা! খাদ্যরসিকদের মাথায় হাত

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jun 27, 2022 | 9:22 PM

Cholera In Nepal : কলেরা আতঙ্কের মধ্যেই ফুচকা নিষিদ্ধ করা হল কাঠমাণ্ডুতে। কাঠমাণ্ডু উপত্যকার ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটিতে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Cholera In Nepal : কলেরা আতঙ্কে দিশাহারা আম জনতা, নিষিদ্ধ হল সাধের ফুচকা! খাদ্যরসিকদের মাথায় হাত
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কাঠমাণ্ডু : নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে এমন এক খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা শুনে সবাই অবাক হবেন বা অনেকেই আবার আতকে উঠবেন। পড়শি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক কাঠমাণ্ডুর ললিতপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এলাকায় ফুচকা নিষিদ্ধ করেছে। নেপালে অবশ্য এটি গোলগাপ্পা বা পানিপুরি নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, উপমহাদেশের ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেপালে অতি জনপ্রিয় খাবার ফুচকা। তবে এই ফুচকার জন্যই ক্রমে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে নেপালের রাজধানীতে। যার জেরে চিন্তিত স্থানীয় প্রশাসন। কাঠমাণ্ডু উপত্যকার ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটিতে কলেরা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ফুচকাতে ব্যবহৃত জলে কলেরার ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। আর তারপরই কলেরা রুখতে ফুচকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ললিতপুরে।

ললিতপুর পৌর এলাকার পুলিশ প্রধান সীতারাম হাচেতু জানান, যানজটপূর্ণ এলাকা এবং করিডোর এলাকায় ফুচকা বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তিনি আরও জানান, ফুচকার কারণে কলেরার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রবিবার কাঠমাণ্ডুতে কলেরার সাতটি নতুন কেস পাওয়া শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে উপত্যকায় মোট কলেরা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।

নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে এপিডেমিওলজি এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক চমনলাল দাস বলেছেন যে কাঠমাণ্ডু মহানগরীতে কলেরার পাঁচটি কেস পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া চন্দ্রগিরি পৌরসভায় একটি ও বুধনীকান্ত পৌরসভায় একজন কলেরা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিএছে। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক কলেরার লক্ষণ দেখা মাত্রই নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে আম জনতাকে। বর্ষা ও গ্রীষ্মকালে ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়া, কলেরার মতো জলবাহিত রোগ। আর এই কারণেই সতর্ক থাকার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এদিকে কলেরা আক্রান্তরা বর্তমানে টেকুর শুকরাজ ট্রপিক্যাল ও সংক্রামক রোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুই জন কলেরা রোগীকে সুস্থ করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Next Article