রিয়াধ: নীল-সাদা হাওয়াই চটি। দেখলেই কার নাম প্রথম মাথায় আসে? উত্তর দেওয়ার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীল-সাদা হাওয়াই চটি পরেই সারা বিশ্ব ঘুরে বেরান তিনি। কলকাতা তথা ভারতে এই চটি বিক্রি হয় ১০০-১৫০ টাকায়। একই নীল-সাদা হাওয়াই চটি এখন বিদেশের মাটিতে বিক্রি হচ্ছে ১ লক্ষ টাকারও বেশি দামে! এই চটি বিক্রির একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। আর সঙ্গে-সঙ্গেই তা নজর কেড়েছে ভারতীয় নেটিজেনদের। ভিডিয়োয় দেখানো চটি জোড়া, একেবারেই প্রতিদিনের হাওয়াই চটির মতো দেখতে। তবে, এতে কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। হয়তো আছে, যার জন্যই এর এত দাম হয়েছে।
ভিডিয়োটি সৌদি আরবের একটি জুতোর দোকানের। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতে অনাদরে পড়ে থাকা নীল-সাদা হাওয়াই চটিকে অকল্পনীয় সম্মান দেওয়া হচ্ছে সৌদিতে। কাচের শোকেসে রাখা হয়েছে চটি জোড়া। দোকানের এক প্রতিনিধিকে দেখা যায়, হাতে গ্লাভস পরে নীল-সাদা হাওয়াই চটি জোড়া বের করে, ওই শোকেসের উপর রেখে, গ্রাহকে দেখাচ্ছেন। কলকাতা ফুটপাথের জুতোর দোকানে যেমন হাওয়াই চটির সোল ভাঁজ করে দেখান দোকানিরা, ঠিক একই কায়দায় চটি জোড়ার স্থিতিস্থাপকতার প্রমাণ দিচ্ছেন তিনি। হাওয়াই চটি জোড়ার পাশে লেখা আছে তার দাম। সেটা দেখে মাথা ঘুরে যেতে পারে। কারণ দাম লেখা রয়েছে, ৪,৫০০ সৌদি রিয়াল। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১,০০,৩০৫ টাকার সমান।
অনলাইনে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই, ভারতীয় নেটিজেনরা জানিয়েছেন, ভারতে এই চটিগুলি অনেক কম দামে পাওয়া যায়। ভারতীয়রা এই চটিগুলি শৌচাগারে পরার জন্য ব্যবহার করেন। এই সস্তার চটিগুলিই সৌদির ওই দোকানে বিশাল দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ কেউ মজা করে বলেছেন, প্রত্যেক ভারতীয় মা-ই এই চটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। তাই এটি মাতৃদিবসের সেরা উপহার হতে পারে। আরেকজন জানিয়েছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকলে, সৌদিতে গিয়ে ভারতীয়রা বড় ব্যবসা ফেঁদ বসতে পারেন। ভারত থেকে ১০০ টাকায় চটি কিনে নিয়ে গিয়ে, সেখানে ১ লক্ষ টাকায় সেগুলি বিক্রি করলে ১০০০ গুণ লাভ হবে।