
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধেও। অপারেশন স্পাইডার ওয়েবের কায়দায় অপারেশন রাইজিং লায়ন। সূত্রের খবর, ইরানের মাটিতেই গোপনে ড্রোন ঘাঁটি বানায় ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। দিনের পর দিন গাড়িতে করে ড্রোন পাচার করা হয় ইরান সীমান্তের ভিতর। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে এই অপারেশনের প্রস্তুতি সেরে রাখে মোসাদ।
সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, তেহরানের কাছে একটি জায়গায় ড্রোনগুলি লুকিয়ে রাখা হয়। অপারেশনের সময় এই ড্রোনগুলি রিমোটের মাধ্যমে অ্যাকটিভেট করে নিখুঁত লক্ষ্যে হামলা চালানো হয়। এই অপারেশনের জন্য কয়েক বছর ধরে প্রস্তুতি করছিল ইজরায়েল, দাবি আইডিএফের। মোসাদ কমান্ডো ও অন্যান্য সামরিক হাতিয়ারও গোপনে তেহরানে পাঠায় ইজরায়েল। ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক হাতিয়ারগুলি ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আগে থেকেই নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল। তাই যখন ইজরায়েলের ২০০-রও বেশি যুদ্ধবিমান ইরানে হামলা চালিয়ে নিরাপদে সেনাঘাঁটিতে ফিরে এসেছে, দাবি ইজরায়েলি সেনার। ইজরায়েলের হামলায় ইরানের বহু কমান্ডার, বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
যদিও পরবর্তীতে ইজরায়েলের উপর পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। ৮০০ এর বেশি ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় ইরান। ক্রজ মিসাইল নিয়েও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইরানের হামলা ব্যর্থ বলে দাবি করছে ইজরায়েল। তবে সেসবে পাত্তা না দিয়ে গর্জে উঠেছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেই। তাঁর সাফ কথা, কঠোর সাজা পেতে প্রস্তুত থাকুক ইজরায়েল। দুই দেশের সংঘাত নিয়েই এখন এখন মাথা ব্যথা বাড়ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়।