Bus Accident: পাহাড় থেকে খাদে পড়ল পুণ্যার্থীবোঝাই বাস, মৃত কমপক্ষে ২১
Bus Accident: স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রসন্ন গুনাসেনা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে এগিয়ে না এলে মৃতের সংখ্যা বাড়ত পারত। তিনি বলেন, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাস থেকে যাত্রীদের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।

কলম্বো: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড় থেকে খাদে পড়ল পুণ্যার্থীবোঝাই একটি সরকারি বাস। মৃত্যু হল কমপক্ষে ২১ পুণ্যার্থীর। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীলঙ্কার কোটমালেতে।
জানা গিয়েছে, বৌদ্ধ পুণ্যার্থীতে ঠাসা ছিল বাসটি। ওই বাসে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৭০ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয় এক পুলিশ অফিসার বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে, না কি চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী প্রসন্ন গুনাসেনা বলেন, “২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আহতদের স্থানীয় দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়ে গুনাসেনা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে এগিয়ে না এলে মৃতের সংখ্যা বাড়ত পারত। তিনি বলেন, দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাস থেকে যাত্রীদের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, দুটি হাসপাতালে ২৪ জনের চিকিৎসা চলছে। বাসের এক যাত্রী বলেন, তিনি সামনের দিকে বসেছিলেন। পথে বাঁক নেওয়ার সময় বাসটি বাঁ দিকে ঝুঁকে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন চালক। কিন্তু, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। তিনি সামান্য আহত হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় গড়ে ৩ হাজার জনের মৃত্য হয়। প্রশাসনের তরফে জানা দিয়েছে, ২০০৫ সালের পর মৃতের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটল। এর আগে ২০০৫ সালে একটি বাস দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিবেদনটি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লেখা।

