
ব্রাসেলস: সেক্স ছাড়া কাজই করতে পারবেন না। সাফ জানিয়ে দিতেন কর্মীরা। কাজের পর, নিয়মিত কর্মীরা লিপ্ত হতেন গ্রুপ সেক্সে। এমনকি, কাজের সময় অফিসেই চলত যৌন মিলন। গুরুতর যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিদ্ধ বেলজিয়ামের লিজ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত ল্যান্টিন কারাগার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত কারাগারের পুরুষ এবং মহিলা – উভয়ই কর্মীরাই। তাদেরকে সেক্স ম্যাড অর্থাৎ যৌনতার জন্য পাগল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমনকি, এক কর্মী এক মহিলা বন্দির সঙ্গেও যৌনমিলনে লিপ্ত হতেন বলে অভিযোগ। কাজের পর জেলকর্মীদের যে সেক্স পার্টিগুলি হত, তার অধিকাংশই হত ওই কর্মীরই জ্যাকুজিতে। কে কার সঙ্গে যৌনতা করবে, তা বাছা হত লটারির মাধ্যমে। সেক্স পার্টিতে অংশগ্রহণকারীরা না দেখে বিভিন্ন রঙের ব্রেসলেট টানতেন। যে পুরুষ ও মহিলা একই রঙের ব্রেসলেট পেয়েছে, তারা নিজেদের মধ্যে লিপ্ত হতেন যৌনতায়। তবে, শুধু কাজের পরেই নয়, কাজের সময় জেলের কার্যালয়েই চলত যৌনমিলন।
জেলের এক মহিলা কর্মচারীকে ‘নিম্ফোম্যানিয়াক’ (যৌনতা ছাড়া থাকতে পারে না এমন) বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ প্রতিবেদনে। সূত্রের খবর, এক জেল কর্তা তাকে নিয়মিত তার অফিস ব্যবহার করতে দিতেন যৌনমিলনের জন্য। ওই কর্তার আসল উদ্দেশ্য ছিল, অন্যান্য কাজের দিনে নিজের অফিসেই সেক্স করা। যাতে, তাঁর সেই কীর্তির কথা কেউ বাইরে না প্রকাশ করে, সেই জন্য ওই মহিলাকে তিনি তাঁর অফিসে যৌনতা করতে দিতেন।
এই মহিলা কর্মচারী কীভাবে জেলে নিয়োগ পেলেন, তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, তার ভাই একই কারাগারে খুনের দায়ে বন্দি ছিল। সে প্রতিদিন একজন দর্শনার্থী হিসাবে ভাইকে দেখতে আসত। ওয়েটিং রুমে জেলকর্মী এবং অন্যান্য বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে তাকে যৌন রসাত্বক কথাবার্তা বলতে দেখা যেত। এক বছর পর রাতারাতি সে ল্যান্টিন কারাগারে নিয়োগ পেয়েছিল। জেল কর্তাদের খুব কাছের লোক হয়ে উঠেছিল। পরে অবশ্য তার জেলবন্দি ভাইকে ল্যান্টিন থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরের হুই কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই খবর ফাঁস হতেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে বেলজিয়ামে। নড়ে চড়ে বসেছে বেলজিয়ামের ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। প্রাথমিকভাবে ওই নিম্ফোম্যানিয়াক মহিলা কর্মীকে কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডে নিযুক্ত করা হয়েছে। আর, যে কর্মীর জ্যাকুজিতে গ্রুপ সেক্স চলত, তার কারাগারের মহিলাদের অংশে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কারাগারের গভর্নরকে অভ্যন্তরীণ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তদন্ত চলাকালীন তিনি আর কিছু জানাতে চাননি।