Singapore Airlines: মুড়ির টিনের মতো ঝাঁকুনি বিমানে, মৃত্যু ১ যাত্রীর, আহত ৩০! জরুরী অবতরণ ব্যাঙ্ককে

Singapore Airlines Flight Turbulence: মঙ্গলবার (২১ মে), এমনই অতি বিরল অথচ মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরে ফিরছিল বিমানটি। কিন্তু মাঝপথে আচমকা ধপ করে ৬০০০ ফুট নীচে নেমে এসেছিল বিমানটি। যার জেরে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

Singapore Airlines: মুড়ির টিনের মতো ঝাঁকুনি বিমানে, মৃত্যু ১ যাত্রীর, আহত ৩০! জরুরী অবতরণ ব্যাঙ্ককে
ব্যাঙ্ককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানটি Image Credit source: Twitter

May 21, 2024 | 6:24 PM

ব্যাঙ্কক: অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমান ভেঙে পড়ে। অনেক সময় অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমান। কিন্তু, বিমান কোনও দুর্ঘটনায় পড়েনি, অথচ বিমানের পেটে থাকা যাত্রীদের একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত, এমন ঘটনার কথা সচরাচর শোনা যায় না। মঙ্গলবার (২১ মে), এমনই অতি বিরল অথচ মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরে ফিরছিল বিমানটি। কিন্তু মাঝপথে, বড় ধরনের টার্বুল্যান্সে পড়ে বিমানটি। যার জেরে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিমানটিকে ব্যাঙ্ককে জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলট।


হতাহতের খবর স্বীকার করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। মৃত ব্যক্তি এক ৭৩ বছরের ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।  এই বিষয়ে একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তারা। এয়ারলাইন্স বলেছে, সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) এস ৩২১ নম্বরের বিমানটি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল। বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৭৭-৩৯৯ ইআর মডেলের বিমান। বিমানটিতে মোট ২১১ জন যাত্রী ছিলেন। এছাড়া, ক্রু সদস্য ছিলেন আরও ১৮ জন। সিঙ্গাপুর আসার পথে ব্যাপক টার্বুল্যান্সের মুখে পড়ে বিমানটি। যে বায়ু প্রবাহ বিমানকে উড়তে সাহায্য করে, সেই বায়ু প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটলে এয়ার টার্বুল্যান্স তৈরি হয়। এর ফলে ব্যাপক ঝাঁকুনি তৈরি হয় বিমানে। অনেক সময়, মুহূর্তের মধ্যে হাজার-হাজার ফুট নীচে নেমে যায় বিমান। খারাপ আবহাওয়ার জেরে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের অভিশপ্ত বিমানটির যাত্রীদেরও এই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক পর্যায়ে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ৬০০০ ফুট নীচে নেমে এসেছিল বিমানটি।


ঝাঁকুনির জেরে বিমানের ভিতর বহু যাত্রী আসন থেকে পড়ে যান। ঝালমুড়ির মতো বিমানের ভিতর ঝাঁকুনি খেতে হয় যাত্রীদের। অবশেষে, মঙ্গলবার বিকেল ৩.৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বিমানটি ব্যাঙ্ককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। দেখা যায়, ব্যাপক ঝাঁকনির জেরে জোরালো আঘাত লেগে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত যাত্রীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। তারা বলেছে, “বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রী এবং ক্রুদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করাই আমাদের অগ্রাধিকার। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য থাইল্যান্ডের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি আমরা। অতিরিক্ত কোন সহায়তা দেওয়ার জন্য আমাদের এক প্রতিনিধি দলকে আমরা ব্যাঙ্ককে পাঠাচ্ছি।”


চিকিৎসকদের মতে, সম্ভবত যাত্রীরা কেউ সিটবেল্ট পরেননি। পাইলটও টার্বুল্যান্সের আগাম সতর্কবার্তা দিতে পারেননি। আসলে, অনেক সময় আবহাওয়ার রাডারে কোনও টার্বুল্যআন্সের ইঙ্গিত থাকে না। তাই পাইলট আগে থেকে সতর্ক করতে পারেন না। যাত্রীরাও সিটবেল্ট পরেন না। এই ধরনের ক্ষেত্রে, বিমানটি আচমকা টার্বুল্যান্সে পড়লে যাত্রীরা বিমানের ভিতর এদিক-ওদিক ছিটকে পড়তে পারেন। এটাই সম্ভবত ওই মৃত ও আহত যাত্রীদের আঘাতের মূল কারণ। ২০২৩-এর মে মাসে, দিল্লি থেকে সিডনিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানও এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়েছিল। ওই বিমানেও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। পরে, বিমানটির পাইলটদের পদচ্যুত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে।