জোহানেসবার্গ: একটি হত্যা ধামাচাপা দিতে গিয়ে খুন আরও ৭৬ জন! দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বছর এক ভবনে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলাটি কোনও খুনের মামলা ছিল না। নিছকই আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে এসেছে নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যার জেরে গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি), এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ।
২০২৩-এর অগস্টে জোহানেসবার্গের এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন লেগে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কীভাবে ওই আগুন লেগেছিল, তা জানার জন্য ওই ভবনের বাসিন্দাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করছিল পুলিশ। সেই সময়ই এক ২৯ বছরের যুবক স্বীকার করে নেন, আগুন লেগেছিল তারই কারণে। স্বীকারোক্তিতে সে জানিয়েছে, এক মাদক ব্যবসায়ী তাকে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের এক ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল।
ওই ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিল। মাদক কেনা-বেচা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিল সে। তার জেরেই তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ওই মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন, ওই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল ২৯ অভিযুক্ত যুবক। তারপর, প্রমাণ লোপাট করার জন্য ওই ব্যক্তির মৃতদেহে পেট্রোল ঢেলে, একটি দেশলাই কাঠি দ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। আর তা থেকেই আগুন ধরে গিয়েছিল গোটা ভবনে।
তার এই স্বীকারোক্তির কয়েক ঘণ্টা পরই, গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। তার বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তিকে হত্যার পাশাপাশি, আরও ৭৬ জনকে অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১২০ জনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে, এখানেই তদন্ত শেষ হযে যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, ওই ভবনের আগুন নেভানোর ব্যবস্থাতেও গলদ ছিল। না-হলে এতগুলি লোকের মৃত্যু হত না।