কেপটাউন: এক দেশে বোরখা ও মাদ্রাসা (ইসলামিক স্কুল) বন্ধ করার প্রতিবাদে তীব্র আপত্তি জানাল আরেক দেশের মুসলিম সংগঠন। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সরকারের মন্ত্রী সেদেশে বোরখার ব্যবহার এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বি স্কুলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিদেশমন্ত্রীকে পুরো ঘটনায় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে সেখানকার একটি মুসলিম সংগঠন।
প্রতিবাদী এই সংগঠনের নাম ইউনাইটেড ‘উলেমা কাউন্সিল অব সাউথ আফ্রিকা’। ওই সংগঠনের দাবি, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে শ্রীলঙ্কা সরকারের এই সিদ্ধান্ত। সেই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশমন্ত্রী নালেদি পান্ডোর যেন অবিলম্বে বিষয়তে হস্তক্ষেপ করেন, এমনটাই দাবি ওই সংগঠনের।
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও শ্রীলঙ্কা সরকারের একটি সিদ্ধান্তকে ‘মুসলিম-বিরোধী’ বলে দাবি করেছিল ওই ইসলামিক সংগঠন। করোনা সংক্রমণের সময় করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহ কবরের বদলে দাহ করার কথা বলা হয়। যা নিয়ে মুসলিম ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে নিজের অবস্থান থেকে সরেনি সরকার। এ বার ফের আরেক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব ওই সংগঠন।
আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021 Opinion Poll: নন্দীগ্রামে জিতছেন কে, মমতা না শুভেন্দু?
দ্বীপরাষ্ট্রের এহেন একাধিক সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজতে গেলে দু’বছর পিছিয়ে যেতে হবে। ২০১৯ সালে বুদ্ধ ধর্মালম্বী অধ্যুষিত এই দেশের একটি গির্জায় মুসলিম জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপরই রাজাপক্ষ নির্বাচনে জিতে প্রতিশ্রুতি দেন ধর্মীয় মৌলবাদ বন্ধ করার। এই সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতি হিসেবে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা মন্ত্রী শরথ উইরাসেকরা জানিয়ে দেন, বন্ধ হবে বোরখা পরা। তার সঙ্গে বন্ধ হবে ইসলামিক স্কুলও।
আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021 Opinion Poll: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চায় বাংলা?