জ্বালানির জন্য ৩৬ ঘণ্টা লাইন:

রাজধানী কলম্বোর কাছেই একটি পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি সংগ্রহ করতে সাধারণ মানুষ ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। রাস্তাঘাটে ইতিমধ্যেই উধাও হয়ে গিয়েছে যাবতীয় গণ পরিবহন। যেকয়েকটি গাড়ির দেখা মিলছে, তাও ব্যক্তিগত। একাধিক গাড়ি আবার মাঝ রাস্তাতেই থমকে দাঁড়িয়েছে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য। কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার বাসিন্দাদের আর্জি, ভারত যেন জ্বালানি ও খাদ্যশস্য পাঠিয়ে সাহায্য করে।

৮-১০ গুণ চড়া দামে বিকোচ্ছে খাবার:

শুধু জ্বালানিই নয়, চড়া দামে বিকোচ্ছে খাবারও। খাদ্য ভাণ্ডার প্রায় ফুরিয়ে আসায়, অবশিষ্ট যা কিছু রয়েছে, তা ৮-১০গুণ দামে বিকোচ্ছে। চাল পাওয়া যাচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে, এক কৌটো গুড়ো দুধের দাম যেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, তা বর্তমানে ১৯০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিকোচ্ছে। সবজি কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর প্রশাসনের তরফে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে চাষের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ফলে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে হু হু করে। এর উপর আর্থিক সঙ্কট দেখা দেওয়ায় উৎপাদন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।

সংসদে দেশের পরিস্থিতির বর্ণনা:

গতকালই শ্রীলঙ্কার সংসদে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেয়ওয়ার্ডানা বলেন, “আমাদের বলা হচ্ছে যে এটা হয়তো সবথেকে চরম সঙ্কট। তবে আমার মনে হয় এটা কেবল সঙ্কটের শুরু। একদিকে খাদ্যসঙ্কট দেখা গিয়েছে, অমিল গ্যাস ও বিদ্যুৎও। এবার অনাহারের মুখে পড়তে হবে দেশবাসীদের।”