
ঢাকা: বাংলাদেশে ফের পথে নামলেন পড়ুয়ারা। ফিরে এল মাস আষ্টেক আগের ছবি। যেমন ভাবে হাসিনার বিরুদ্ধে একটু একটু করে জনরোষ তৈরি করে, তাঁকে গদিচ্যুত করেছিলেন পড়ুয়ারা। ঠিক আবার সেই একই রকমের আন্দোলনের ছাঁচ তৈরি হয়ে গেল বাংলাদেশে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আরও তিন দফা দাবি-সহ রাজপথে নেমেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
বুধবার থেকে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। রাতভর আন্দোলন। অবশেষে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে অবস্থান। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনে যোগ দিয়ে পথে বসেছে শতাধিক পড়ুয়া। থেমে গিয়েছে যানবাহন। কাকরাইল মোড়ের বিক্ষোভে বিপাকে সাধারণ যাত্রীরা।
কী দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন তারা?
মূলত তিন দফা দাবিকে ঘিরে সেদেশে পড়ুয়াদের মধ্যে চড়েছে উত্তেজনার পারদ। তাদের দাবি –
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পড়ুয়াদের দাবি-দাওয়া এমন কিছু বিরাট নয়। তারপরেও এই নিয়ে কেন চড়ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পারদ? বুধবার নিজেদের তিন দফা দাবি নিয়ে মিছিল শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাস এলাকা থেকে সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার দিকে যেতে থাকে মিছিল। তখনই ঘটে বিপত্তি।
তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পু’লিশ মুখোমুখি !
—আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলছেন, হাসনাত যমুনায় যেতে পারলে জগন্নাথ এর শিক্ষার্থীরা কেন পারবেনা?
জগন্নাথ এর শিক্ষার্থীরা না পারলে হাসনাত কেন পেরেছে? pic.twitter.com/COorrMiVSF— Sujon Ahmed 🇧🇩🇺🇸 (@SAexploring) May 14, 2025
মিছিল শুরুর মিনিট খানেকের মধ্যে তা ছত্রভঙ্গ করে বাংলাদেশ পুলিশ। চলে লাঠিচার্জ, ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। আহত হয় পঞ্চাশ জনের পড়ুয়া। বলে রাখা ভাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ছাড়াও এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন জুলাই ঐক্য সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পড়ুয়ারা নেতা-কর্মীরাও। এই দুই সংগঠনই ছিল বাংলাদেশের পালাবদলের অন্যতম মাথা। গতরাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এসে দেখা করে গিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও।
জঙ্গি উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল নিক্ষেপ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাথে ভুয়া ভুয়া স্লোগান!!
বাই দ্যা ওয়ে, একদম পারফেক্ট শট– হেডশুট! 🎯 pic.twitter.com/BpBmwtP4dI
— Bangladesh Fact 🇧🇩 (@Bangladesh_Fact) May 14, 2025
ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বুধবার রাত ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। পুলিশি ব্যারিকেডের ‘নিরাপদ’ দিকে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গেলেই তাকে লক্ষ্য করে ঢিল, জলের বোতল ছুড়তে থাকেন পড়ুয়ারা। একটি বোতল এসে মাথায় লাগে উপদেষ্টার। তখনই রাগে গদগদ হয়েছে বিক্ষোভস্থল ছাড়েন তিনি।